189507

স্বপ্নের পদ্মাসেতু মেলায় পূর্ণতা পেলো

নদীবক্ষের জলরাশি ভেদ করে দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মাসেতু। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পূর্ণতা পেতে আরো দিন বাকি। তবে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবিখ্যাত পদ্মা সেতুর পূর্ণতা মিলেছে এবারের বাণিজ্য মেলায়।

প্রতীকী এ পদ্মা সেতু মেলার গেটে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে স্বপ্নময় বাংলাদেশের কথা শোনাবে লাখো মানুষকে। শোনাবে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের কথা।

উন্নয়নের গল্প বলার পাশাপাশি ঢাকার ঐতিহ্যও তুলে ধরেছে এবারের মেলার গেট। এজন্য পদ্মা সেতু-সদৃশ স্প্যানের (ইস্পাতের কাঠামো) নিচে ‘ঢাকা গেট’র আকৃতিও ঠাঁই পেয়েছে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৮’র প্রধান ফটক এবারের পদ্মা সেতু এবং ঢাকা গেটের আদলে নির্মিত হয়েছে। গেটে পদ্মা সেতুর পিয়ারের (স্তম্ভ) ন্যায় চারটি পিয়ার রয়েছে। পিয়ারের ওপর স্প্যান বসানো হয়েছে। এটিই গেট, এটিই পদ্মা সেতু।

আবার পিয়ার ঘেঁষে চারটি ছোট খাম্বা দাঁড় করানো হয়েছে, যা ঢাকা গেটের প্রতিচ্ছবি।

বিশাল অথচ নান্দনিক নকশায় এবারের মূল গেট যে কারো মন কাড়বে অবলীলায়। গেটের সুউচ্চ পিয়ার আর স্প্যান দূর থেকেই চোখে পড়ছে।

এবারের মেলায় মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে এক নতুন বাংলাদেশের চিত্র দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। একটি মাত্র গেট, যাতে চোখ রাখলেই বাংলাদেশের হাজারো উন্নয়নের কথা মিলবে। মিলবে বাঙালির আত্মবিশ্বাসের কথাও। বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলেও বাঙালি দমে যায় না, তারই সাক্ষর বহন করছে বাণিজ্যমেলার এ গেট।

মেলা শুরুর আগেই এ গেট নজর কেড়েছে রাজধানীবাসীর। নির্মাণ শেষ না হতেই উৎসাহ নিয়ে অনেকে গেট দেখতে আসেন। অনেকে আবার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

গত শনিবার দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণ দেখতে আসেন আল হেলাল। বলেন, মন কেড়েছে। আগের গেট ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের আদলে। এবার পদ্মা সেতুর আদলে নান্দনিক গেট তৈরি হয়েছে, বেশ ভালো লেগেছে।

গেটের এমন নকশার ব্যাপারে কথা হয় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী সঙ্গে। বলেন, আমরা এখন এক স্বপ্নময় বাংলাদেশকে দেখছি। বাংলাদেশ আর আগের জায়গায় নেই। আমরা নিজেদের ইচ্ছায় সব করতে পারি, তার প্রমাণ মিলছে পদ্মা সেতুতে।

তিনি বলেন, এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের রূপ প্রকাশ করতেই এমন নকশায় গেট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া। এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি ঐতিহ্যও তুলে ধরছে। কারণ একটি রাষ্ট্র বা সমাজ নিজের ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে ধারণ করেই উন্নয়নের পথ মাড়ায়। বাংলাদেশও তার ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। এ এগিয়ে যাওয়ার কথা কোনো না কোনোভাবে প্রকাশ করতেই হয়। আমরা সেটি করার চেষ্টা করেছি।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা- ২০১৮’র সমন্বয়ক মোর্শেদ জামান বলেন, আগের বছরগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের আদলে গেট নির্মিত হয়েছিল। সেটিরও বিশেষত্ব ছিল। কিন্তু এবারে এক নতুন বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতেই গেটের নকশায় পরিবর্তন আনা।

তিনি বলেন, এবারের গেট বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলবে। বিশ্বও শুনবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্প। মেলার প্রধান ফটক উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশের ঐতিহ্যের কথাও প্রকাশ করবে। আশা করছি, এর মাধ্যমে মেলায় আগতদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিতে পারব।

ad

পাঠকের মতামত