‘আগে প্রশ্ন ফাঁস হতো ২ মাস আগে, এখন হয় পরীক্ষার দিন সকালে’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘১৯৬১ সাল থেকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। আগে বিজি প্রেস থেকে পরীক্ষার ২ মাস আগে প্রশ্ন ফাঁস হতো। এখন পরীক্ষার দিন সকালে ফাঁস হয়। কিছু কু শিক্ষক প্রশ্ন ফাঁস করছেন। আমরা চেষ্টায় আছি এটাও পুরোপুরি বন্ধ করার।’
ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় ছিল পরীক্ষায় ৫০ শতাংশও পাস করতো না। কিন্তু এখন পাসের হার অনেক বাড়াতে আমরা সক্ষম হয়েছি। তবে এবার পাসের হার কমেছে। এটা লুকানোর কিছু নেই। তবে কেন কমলো তা এখনি বলা যাবেনা। আমরা স্টাডি করবো। তারপর বলতে পারবো।’
শূন্যপাস স্কুলগুলো কী রাখার দরকার আছে? জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ ধরনের স্কুল অনেকগুলো গড়েছে, যেগুলোতে লেখাপড়া ভালো হয় না বা পাস করলেও একজন-দুইজন পাস করে, আমরা এগুলো রাখতে চাই না। বরং ওই স্কুলগুলোকে কোথাও মার্জ (একীভূত) করে হোক বা ওই স্কুলের ছাত্রদের অন্য ব্যবস্থা করে হোক, যেন ভালো লেখাপড়া হয় সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে নাহিদ বলেন, চাইলেই আমরা পারি না। সেজন্য আইন আছে। আমাদের মন্ত্রিসভা পর্যন্ত যেতে হয়। আমরা এবার টার্গেট নিয়েছি আগামী সেশনের আগেই যেন মন্ত্রিসভা পর্যন্ত যেতে পারি। তখনই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবো।
‘কিন্তু এটা নিশ্চিত যে, আমাদের যেটুকু ক্ষমতা আছে সে অনুসারে এগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এসব প্রতিষ্ঠান থাকার কোনো কারণ নেই, অর্থহীন করে রেখে লাভ নেই। জনগণের টাকা খরচ হয়, অথবা খরচ বেশি না করতে পারলেও দাবি হয় যে জনগণের টাকা যায়। যারা একেবারেই পাস করতে পারে না, বোঝা যায় যে শিক্ষার মানটা কত নিচে গেছে। আমরা পৃথক মূল্যায়ন করে ব্যবস্থা নেবো’।










