189331

মরনব্যাধি এইডস হয়ে যে পাঁচ সেলিব্রিটি মৃত্যু বরন করেছেন

মরণঘাতি Acquired Immuno Deficiency Syndrome বা এইডস রোগের কথা তো আমরা সবাই শুনেছি। Human Immunodeficiency Virus (HIV) নামক ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই রোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একদম কমে আসতে শুরু করে। রোগী ক্রমশ ধাবিত হয় মৃত্যুর দিকে। এক পরিসংখ্যান মতে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেই প্রায় ৪০ লাখ এইডস রোগী রয়েছে।

আজ আমরা আপনাদের জানাবো সেই পাঁচ সেলিব্রিটির কথা, যারা এইডস রোগে মারা গেছেন।

১. আশির দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিশা নুর
আশির দশকের সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিশা নুরকে একজন সুপারস্টার হিসেবেই ধরা হতো। ‘কল্যায়ানা আগাথিগল’র মতো হিট সিনেমাও করেছেন তিনি। জানা যায়, একজন প্রযোজক তাকে বেশ্যাবৃত্তিতে ঠেলে দিয়েছিলেন এবং এর পরপর তার বদনামও রটে। পরে তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, নিশাকে শহরের এক সুফি দরগার পাশে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তার শরীরে পোকা-মাকড় ও পিঁপড়ে ধরেছিল। মানুষজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর জানা যায় যে, তার এইডস হয়েছে। তারপর ২০০৭ সালে মৃত্যু ঘটে এই সেলিব্রিটির।

২. টিভি তারকা পেড্রো পাবলো জামোরা
একটা সময় ছিল যখন খোদ আমেরিকায় সমকামিতাকে একটি গুরুতর অপরাধ বলে মানা হতো। আর তখন পাবলো টিভির সামনে খোলাখুলি অনেক কথা বলেছিলেন সমকামিতা নিয়ে। ভারতের MTV এর বিখ্যাত শো ‘The real world : san fransisco’ তে নিজের রোগের কথা তিনি খোলাখুলিই জানিয়েছিলেন। সেই সাথে এটাও বলেছিলেন যে, তার পার্টনার সিন সাসারও এইডস আক্রান্ত।

১৯৯৪ সালের ১১ নভেম্বর এইডসের সাথে লড়তে লড়তে মারা যান পাবলো।‌ কিছুদিন পর তার পার্টনারেরও মৃত্যু ঘটে।

৩. মডেল জিয়া সারেঙ্গী
বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর পণ্যের জন্য মডেলিং করতেন জিয়া সারেঙ্গী। মাত্র ২৬ বছর বয়সে এইডস হয়ে গিয়েছিল তার। কেরিয়ার যখন টপে তখন তিনি নেশার শিকার হয়ে পড়েন এবং এর জেরে ক্যারিয়ার নষ্টও হয়ে যায়। নিউমোনিয়ার কারণে যখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন ডাক্তাররা তার শরীরে এইচআইভি পজেটিভ ভাইরাস পান। কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু ঘটে তার।

৪. টেনিস তারকা আর্থার ইয়াস
আর্থার ইয়াস আমেরিকার সেই টেনিস খেলোয়াড়, যিনি সর্বপ্রথম ডেভিস কাপ লুফে নেন এবং ভিমেলডনও জেতেন। যখন জানতে পারেন যে, তিনি এইডস আক্রান্ত, তখন নিজ দেশে এইডসের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করেন। এইডসের সাথে লড়াই করতে করতে ১৯৯৩ তে আর্থারের মৃত্যু ঘটে।

৫. আশির দশকের জনপ্রিয় গিটারিস্ট রিকি বিলসন
আশির দশকের আমেরিকায় মিউজিক ব্যান্ড B52 খুব জনপ্রিয় ছিল। এ ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট রিকি ১৯৮৩ সালে জানতে পারেন যে, তার এইডস হয়েছে। রোগের সাথে লড়তে লড়তে ১৯৮৫ সালে রিকির মৃত্যু হয়।

ad

পাঠকের মতামত