‘সহনীয় মাত্রায় ঘুষ’ ইস্যুতে ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
‘সহনীয় মাত্রায় ঘুষ’ খাওয়া ও ‘অফিসাররা চোর, মন্ত্রী চোর’বিষয়ক বক্তব্যের ব্যাখ্যায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কতিপয় মিডিয়া আমার বক্তব্য ‘খণ্ডিতভাবে’ তুলে ধরায় বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে- খণ্ডিত এই বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের ব্যাখ্যা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে পরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। লিখিত বক্তব্যই তার উত্তর বলে তিনি সম্মেলনকক্ষ ত্যাগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ভবনের অনুষ্ঠানের সংবাদ বেশিরভাগ গণমাধ্যমে যথোপযুক্তভাবে তুলে ধরা হলেও কতিপয় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় আমার বক্তব্য খণ্ডিতভাবে প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিভ্রান্তির ওপর ভিত্তি করে কতিপয় বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতামতও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সব জায়গায় যে বলেছি অপচয়-দুর্নীতি আমরা কঠোর অবস্থান নেব এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স। এটি আমাদের বলতে হবে; কিন্তু আমি ইডির (ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট) সভায় বলছি- আপনারা দয়া করে ভালো কাজ করবেন। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা ঘুষ খাবেন, তবে সহনশীল হইয়্যা খাবেন। অসহনীয় হয়ে বলা যায়, আপনারা ঘুষ খাইয়েন না- এটি অবাস্তবিক কথা হবে’।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছিলেন- ‘নানা জায়গায় এ রকম হইছে, সব জায়গাতেই এ রকম হইছে। খালি যে অফিসার চোর তা না, মন্ত্রীরাও চোর, আমিও চোর। …এই জগতে এ রকমই চলে আসতেছে। সবাইকে আমাদের পরিবর্তন করতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।