তুরস্কে আশ্রিত সৌদির প্রভাবশালীর দুই মেয়ে যে কারনে দেশে ফিরতে চান না
পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সৌদি আরবের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির দুই মেয়ে দেশে না ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন।
তাদের আশঙ্কা তুর্কি কর্তৃপক্ষ জোর করে দেশে ফেরত পাঠালে তারা পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে শিকার হবেন।
এছাড়াও সৌদি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে তাদের কারাদণ্ডও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দুই বোনের আইনজীবী সারদারহান টপো।
এ আইনজীবীর বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, আত্মীয় স্বজনের দুর্ব্যবহার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে পালান আশোয়াক হামুদ (৩০) এবং আরিজ হামুদ (২৮) নামে দুই বোন।
আইনজীবী টপো বলেন, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আত্মীয় স্বজনদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য আশোয়াক ও আরিজ ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে দেশ ছাড়েন।
রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার উদ্দেশ্যে তারা একটি বিমানে করে নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছিলেন। বিমানটি হংকংয়ে ট্রানজিট নেয়।
এ সময় তাদের কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হওয়ায় হংকং কর্তৃপক্ষ তাদের আর বিমানে উঠতে দেয়নি বলে জানান টপো।
এরপর হতাশ দুই বোন হংকং থেকে আশ্রয়ের সন্ধানে তুরস্কের ইস্তানবুলে চলে যান। সৌদি নাগরিকরা অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করতে পারেন।
দুই বোন ইস্তানবুলে অবস্থান করার পাশাপাশি কাজ করেন। এরপর তারা তুরস্কে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করেন। এ আবেদনের পরপর গত মে মাসে তাদের আটকাদেশ দেয়া হয়।
আইনজীবী টপো বলেন, দুই বোনের বাবা একজন প্রভাবশালী সৌদি নাগরিক। তিনি সৌদি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মেয়েদের দেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে বলেন, তার মেয়েরা সিরিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে যাওয়ার জন্য পালিয়েছিল।
আইনজীবীর দাবি, তুর্কি কর্তৃপক্ষ দুই বোনের বাবার অভিযোগের কোনো প্রমাণ না পেলেও তাদের আটকাদেশের কয়েক দিনের মধ্যেই সৌদিতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তবে তুরস্কের সাংবিধানিক আদালত রুল জারি করেছে বলেছে, বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুরস্ক থেকে কাউকে ফেরত পাঠানো যাবে না। ইস্তানবুলের একটি স্থানীয় আদালতে এখন দুই বোনের মামলাটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। উৎসঅ: যুগান্তর