শাকিব-অপুর নাটক ‘অবশেষে খালাস’
শামীমুল হককত আর নিজেকে ঠিক রাখা যায় বল? প্রেম ভালবাসার অভিনয় করতে করতে টায়ার্ড হয়ে গেছি। রাতে ঘুম আসেনা। শুধু তোমাকে স্বপ্ন দেখি। মায়ার জাদুতে বন্দি হয়ে গেছি আমরা। আহা দেশ-বিদেশ কোথায় আমরা যাইনি। কত রাত আমরা কাটিয়েছি গল্প করতে করতে। দুজনে মিশে একাকার হয়ে গেছি। এসব আর ভাল লাগেনা। এখন আর কৃত্রিম উপায়ে সম্ভব নয়। চল এবার বাস্তবে রুপ দেয়া যাক। আমরা বিয়ে করে ফেলি। অপুর এ কথায় চমকে উঠে শাকিব। মনে মনে বলে আরে মেয়ে দেখি আমার চেয়ে শেয়ানা। বন্দি করে নিতে চায় আমাকে। জীবন থাকতে এটা আমি হতে দিতে পারিনা। আমিতো খেলতে চেয়েছি মাত্র। খেলা শেষে ছুড়ে ফেলে দেবো। এটাইতো আমার উদ্দেশ্য। কিন্তু অপু যে নাছোড় বান্দা। সবই যখন হয়েছে বিয়েটা হতে দোষ কোথায়?
এবার শাকিব বলল, হ্যাঁ ঠিকই বলেছ। তবে আমার একটা শর্ত আছে। কি সেই শর্ত? বিয়ের কথা গোপন রাখতে হবে। ধর্মান্তরিত হতে হবে। অপুতো ফেঁসে গেছেন। কথা অনুযায়ী রাজি হয়ে গেলেন। গোপনে বিয়ে হলো। একসঙ্গে নিশি যাপন শুরু হলো। শাকিবের পরিবারও জানল। অপুর পরিবারও বাদ যাবে কেন? তারাও জানলেন সবকিছু। কত রাত যে শাকিবের ঘরে কেটেছে অপুর তার স্বাক্ষীতো শাকিবের পরিবার নিজেই। এভাবেই পর্দার নায়ক নায়িকা হয়ে গেলেন বাস্তব জীবনের নায়ক নায়িকা। কিন্তু সমস্যা হলো তারা স্বামী স্ত্রী হতে পারেননি। আর তাইতো অপুর গর্ভে সন্তান এলে মাথা খারাপ হয়ে যায় শাকিবের। গর্ভপাত করতে হবে। তাই করা হলো। একবার, দুইবার নয়। তিন তিনবার গর্ভপাত করা হয়েছে। চতুর্থবারও চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এবার আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। ডাক্তার বলেছে, সময় পার হয়ে গেছে। এখন গর্ভপাত করা যাবেনা। বাধ্য হয়ে গর্ভধারণ করতে হয় অপুকে। কিন্তু শাকিবের যে মাথা খারাপ। সময় যতো ঘনিয়ে আসছে শাকিব ততই দিশাহারা হয়ে উঠেছে। মানুষের কাছ থেকে গোপন রাখতে পাঠিয়ে দেয়া হয় কলকাতায়। সেখানে এক ক্লিনিকে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় অপু। চতুর্থবারের মাথায় সফল হয়েছে বলে সন্তানের নাম রাখে জয়। গল্প এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। নাটকীয়তা এখনো শুরু হয়নি।
কলকাতা থেকে দেশে ফিরে অপু বুঝতে পারেন শাকিব আর তার দিকে তেমন খেয়াল দিচ্ছেনা। হয়তো টাকা দিচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীতে টাকাইতো সবকিছু নয়। এভাবে ছয়মাস বয়স হয় পুত্র জয়ের। আর নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি অপু। একদিন একটি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সব প্রকাশ করে দেন। গোপন বিয়ে, গোপন সন্তান আর গোপন সংসারের সবকিছু জানিয়ে দেন। ওদিকে এতে ক্ষেপে উঠেন শাকিব। রেগে বলেন, এ সন্তান আমার নয়। এমনকি বিয়ের কথাও অস্বীকার করে বসেন। গোটা দেশে এ নিয়ে তোলপাড়। অবস্থা বেগতিক দেখে শাকিব মিডিয়ার সামনে সবকিছু স্বীকার করে নেন। কিন্তু এ স্বীকারের পেছনে যে রহস্য লুকিয়ে আছে সেটা সেসময় অনেকেই লক্ষ্য করেছেন। যার প্রমান এখন পাওয়া যাচ্ছে।
কোন ছুঁতো খুঁজছিলেন শাকিব। এক সময় পেয়েও যান। কি সেই ছুঁতো? তাকে না জানিয়ে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে কলকাতা যাওয়া এবং তার কথা না শোনা। শাকিব চেয়েছিলেন সুগৃহিনী হয়ে থাকবেন অপু। কিন্তু অপু সেটা চায়নি। তিনি রুপালী পর্দায় ফিরে যেতে চেয়েছেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় দীর্ঘ নয় বছর অপু শাকিবের কথা শুনে বিয়ে, সংসার, সন্তানের কথা গোপন রেখেছেন। তখন কোন সমস্যা হয়নি। যেইমাত্র গোপন কথা প্রকাশ করে দিলেন তখনই সৃষ্টি হলো সমস্যার। যে কারণে অপুকে তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অপু তালাকের নোটিশ পেয়ে অবাকই হয়েছেন। বলেছেন, ভেবে চিন্তে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি সবকিছু জানাবেন। রুপালী পর্দার জনপ্রিয় জুটি শাকিব-অপুর প্রেম বিয়ের কাহিনী নিয়ে এমন একটা নাটক লিখা য়ায়। নাট্যকাররা বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন। নাটকের সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘অবশেষে খালাস’।
সূত্র: ফেমাসনিউজ২৪