
শাকিব-অপুর ডিভোর্স: যা লিখল বিদেশি গণমাধ্যম
বেশ কয়েকবার গুঞ্জন রটে ছিলো শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর। তবে এবার সত্যি হলো সেই গুঞ্জন। গত ৪ ডিসেম্বর অপুকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন শাকিব খান।
ডিভোর্সের বিষয়টি নিয়ে নায়িকা অপু বিশ্বাসের সাথে বিডি২৪লাইভের কথা হলে তিনি বলেন, শাকিবের এমন সিদ্ধান্ত মানতে সত্যি অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমি তো আর এখন একা কিছু করতে পারবো না। এ নিয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।
এদিকে কলকাতা থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাকিব খান বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার কলকাতা আশার সময় আমি ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করে এসেছি। তবে অপু এখনও সেই পেপার পেয়েছে কিনা সেটা আমি যানি না।’
আর এ ঘটনা নাড়া দিয়েছে সবাইকেই। এমনকি ভারতের শীর্ষ সংবাদ মাধ্যম ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকাকেও। পত্রিকাটি শিরোনাম করেছে ‘অপুকে কেন ডিভোর্স দিলেন শাকিব’?
আনন্দবাজার পত্রিকার ওই সংবাদটি নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো-
কেন অপুকে শাকিব ডিভোর্স দিলেন? এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে ঢালিউডে। অপুর বাড়িতে পাঠানো শাকিবের ডিভোর্সের চিঠিতে কী আছে? শাকিবের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “তালাকনামায় অপুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে শাকিবের।”
তবে এর মধ্যে প্রধান দু’টি অভিযোগের কথা উল্লেখ করে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ডিভোর্সের নোটিসে দু’টি কারণ দেখিয়েছেন শাকিব। প্রথম অভিযোগ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, অপু তাঁদের সন্তানকে বাড়ির কাজের মেয়ের কাছে রেখে, কথিত বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় অভিযোগ হল, অপু শাকিবের নির্দেশ মেনে চলেন না। আর এই কারণেই তিনি বিচ্ছেদ চাইছেন।”
২২ নভেম্বরে ইসলামের সঙ্গে দাম্পত্য সমস্যা নিয়ে কথা বলে শাকিব এমন সিদ্ধান্তে আসেন বলেও জানান সিরাজুল। আগামি নব্বই দিনের মধ্যে তাঁদের একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। ইচ্ছে করলে অপু বিশ্বাস এই তালকানামাকে চ্যালেঞ্জও জানাতে পারেন, এবং সেটাও নব্বই দিনের মধ্যেই করতে হবে।
এ দিকে ডিভোর্সের বিষয়ে কথা বলতে সোমবার বিকেল থেকেই অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তার বাড়ির সামনে হাজির হয়েছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। অন্য দিকে শাকিব খান ‘নোলক’ নামের একটি ছবির শুটিংয়ে জন্য বর্তমানে ভারতের হায়দরাবাদে রয়েছেন।