184311

প্লিজ আমাকে একটু সময় দিন !

বিনোদন ডেস্ক: অনেক দিন ধরেই চলছিল নানা গুঞ্জন। অবশেষে সেই গুঞ্জন-ই সত্যি হল। অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন শাকিব খান।

তবে এখবর এখন পুরানো। নতুন খবর হলো অপু বিশ্বাসের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যানি। ডিভোর্স এর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা অপুর বাসার সামনে অবস্থান করেও তার কোন দেখা পায়নি। বাড়ির দারোয়ান বলেন, অপু সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন। কোথায় গেছেন সেটা তিনি জানেন না।

তবে নিরবতা ভেঙ্গে অপু বিশ্বাস তার ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে একটি পোস্ট দেন সেখানে তিনি লিখেন,

“প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বন্ধুগণ,

আপনারা ২০০৫ সাল থেকে আজ অবধি আমার পাশে ছিলেন, আমার ভালো সময়/খারাপ সময়ে আপনাদের পাশে পেয়েছি। আমি আপনাদের কৃতজ্ঞ, আমি আপনাদের অনেক শ্রদ্ধা করি।

সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আপনারা আমাকে পাচ্ছেন না বলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমাকে একটু সময় দিন, আমি ব্যাপার গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। খুব শীঘ্রই আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবো।

যারা আমার বক্তব্য না নিয়ে নিউজ করছেন তাদের প্রতি বিনিত অনুরোধ প্লিজ আমাকে একটু সময় দিন, খুব তাড়াতাড়ি আমি আপনাদের সামনে আমার বক্তব্য তুলে ধরবো।..

ধন্যবাদ সবাইকে….”

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি এই নোটিশ পাঠান। সোমবার সেটি হাতে পেয়েছেন অপু বিশ্বাস। শাকিব খানের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্সের দুটি কারণ দেখিয়েছেন শাকিব খান।

এর মধ্যে গুরুতর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, অপু বিশ্বাস নাকি তার কথিত বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ভারতে বেড়াতে গেছেন। এই সময়ে ছেলে জয়কে বাসার কাজের লোকের কাছে রেখে গেছেন।

প্রেমের পর দীর্ঘ আট বছর শাকিব-অপু নিজেদের বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন। এ সময়ে অন্য কারও সঙ্গে অপু বিশ্বাসের প্রেম-সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

হঠাৎ করেই শাকিব খানের মাধ্যমে জানা গেল, অপু বিশ্বাস প্রেম করছেন। আর তার সঙ্গেই ভারত ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে কে অপু বিশ্বাসের বয়ফ্রেন্ড? অবশ্য শাকিব খান তার ডিভোর্স লেটারে কারও নাম উল্লেখ করেননি।

শাকিব খান এখন ছবির শুটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। অপু বিশ্বাস নিকেতনের বাসায় রয়েছেন। তবে তারা কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।

সোমবার বিকেল থেকেই গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় করছেন অপুর বাসার সামনে। কিন্তু, তিনি কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

ad

পাঠকের মতামত