
আদালতে যা বললেন খালেদা
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে রাজধানীর বকশীবাজার বিশেষ আদালতের পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
আদালতে পৌঁছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ বিশেষ করে, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদের কতিপয় সদস্য প্রায়শই আমাকে জড়িয়ে জনসম্মুখে মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করে।
আমি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অনুকূলে কখনো কোন অর্থ নেইনি। আমি এই ট্রাস্টের তহবিল সংগ্রহ, বন্টন এবং কোনো রকম ব্যাংকিং লেনদেনের সঙ্গে কোনো ভাবে জড়িত ছিলাম না।
কাজেই এর মাধ্যমে নিজের লাভবান হওয়ার বা অন্য কাউকে লাভবান করার কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না। বিএনপি সরকার একজন বিচারপতির নেতৃত্বে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন প্রণয়ন করে।
সাক্ষী হারুণ অর রশীদ একজন অনুসন্ধানকারীরা ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে কোনো দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে এই রূপ মনগড়া সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আমি আরো উল্লেখ করতে চাই যে, এই সাক্ষী হারুণ অর রশীদকে কমিশনের সেটআপে অন্তর্ভূক্ত না করায় পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করা এবং সাক্ষী দেয়ার জন্য তাকে আবার কমিশনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সময়মতো হাজির না হওয়ায় গত ৩০ শে নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
১৯ অক্টোবর এ দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিন তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় অপর মামলাটি দায়ের করা হয়।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর একটি মামলা করে দুদক।