184090

যে কারণ দেখিয়ে অপু বিশ্বাসকে তালাক দিয়েছেন শাকিব খান

 

অপুর কাছে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের এক নম্বর হিরো শাকিব খান। স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্সের খবরটি নিশ্চিত করেছেন শাকিব খান। তিনি বলেন, ঘটনা সত্য অপুর কাছে আমি ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছি। ভারতের হায়দ্রাবাদ থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন শাকিব খান।

তিনি জানান, ৩০ নভেম্বর হায়দ্রাবাদ আসার আগে ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করেছি। এর বেশি এখন কিছু বলতে চাই না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ডিভোর্সের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।

তবে অনেক আগেই শাকিব- অপুর সংসারে ভাঙনের সুর অনেক আগেই বেজে উঠেছিল। কিন্তু সেই সুর এবার অফিসিয়ালি রুপ পেলো। শাকিব খান গত ৩০ নভেম্বর অপু বিশ্বাসের নিকেতনের বাসার ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়েছেন। এরপর তিনি নোলক ছবির শুটিং এ ভারতের হায়দরাবাদে চলে যান। সবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই ভাঙন? তালাক নোটিশ অনুযায়ী জানা যায়, অপু তার পছন্দ অপছন্দকে গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, অপু শাকিবের পছন্দের সীমার মধ্যে থাকেন নি। সম্প্রতি তাঁদের সন্তানকে গৃহপরিচারিকার কাছে রেখে দেশের বাইরে যান অপু। এ ব্যাপারে অপুর কাছ থেকে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব পাননি। শাকিব ধরে নিয়েছেন, অপু তাঁর সঙ্গে সংসার করতে চান না।

২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাকিব খান আইনজীবী আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের চেম্বারে যান। তিনি অপুকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর নিকট আইনগত সহায়তা চান। এরপর শাকিব খানের পক্ষে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের অফিস থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় এই তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এই তালাক কার্যকর হবে নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে তিন মাস পর।

শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, বিয়ের দেনমোহর বাবদ সাত লাখ টাকা অপুকে পরিশোধ করবেন শাকিব খান। এ ছাড়া তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণপোষণ করবেন।

শাকিব-অপু গোপনে বিয়ে করেন ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। বিয়ের ৮ বছরের মাথায় তাদের কোল জুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান। তার নাম আব্রাহাম খান জয়। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে জয়ের জন্ম হয়।

সূত্র: বিডি মর্নিং

ad

পাঠকের মতামত