
অবশেষে অপুকে ডিভোর্স দিলেন শাকিব
‘শাকিব-অপুর বিচ্ছেদের গুঞ্জন’। সে কথাই সত্যি হলো। চিত্রনায়ক শাকিব খান অবশেষে তালাকনামা পাঠিয়েছেন অপু বিশ্বাসকে। দুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
শাকিব খান তার আইনজীবীর মাধ্যম তিনদিন আগে অপুর নিকেতনের বাসায় তালাকনামা পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে শাকিব খান বর্তমানে শুটিংয়ের কাজে ভারতে রয়েছেন।
শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস তাদের বিয়ের খবর গত নয় বছর ধরে গোপন রেখেছিলেন। এরপর এ বছরের ১০ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল ৪টায় দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে, একপ্রকার হাটে হাড়ি ভেঙে দেন অপু।
এতদিন অপু বিশ্বাস গোপনে আগলে রেখেছিলেন শাকিব খানের ঔরসজাত সন্তানকে। কলকাতার একটি ক্লিনিকে ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় শাকিব-অপুর ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের। সে সময় অপু বিশ্বাসের সিজারও করা হয়। এ খবর প্রকাশের পর থেকেই শাকিবের সঙ্গে অপুর মান-অভিমান চলছেই। একটা সময় গিয়ে এ নিয়ে শাকিবের সঙ্গে অপুর দূরত্ব তৈরি হয়। এখন ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর নিকেতনের বাসায় অপু তার পরিবারের সঙ্গে শাকিবকে ছাড়াই আছেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ছিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের পুত্র আব্রাম খান জয়ের প্রথম জন্মদিন। জন্মদিনের দাওয়াতপত্রে অপু বিশ্বাস ও জয়ের ছবি থাকলেও শাকিব খানের কোন ছবি ছিল না। তখনও শাকিব-অপুর সম্পর্কের চরম টানাপোড়নের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এমনকি পুত্রের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও যাননি শাকিব! যদিও শাকিব তার ছেলেন সঙ্গে সেদিন দিনের বড় একটি অংশ কাটিয়েছেন। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন দিনকে দিন বাড়ছিল।
অপু বিশ্বাস ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এরপর ২০০৬ সালে পরিচালক এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা এই জুটি একাধারে ৭০টির মতো ছবিতে জুটি বাঁধেন। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একসময় পরস্পর প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে যান। এরপর ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন শাকিব-অপু।
সূত্র: প্রিয়