যে কারণে শীতকালে প্রতিদিন গোসল করা উচিত নয় !
শীতের সকালে গোসল করার কথা ভাবলেই আমাদের অনেকের গা কাপুনি দেওয়া শুরু হয়ে যায়। ইস কী ঠান্ডা পানি। অনেকে এই ভয়ে পানি গরম করে গোসল করে শীতের সকালে।
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে প্রত্যেকদিন গোসল না করাই ভালো। তাদের মতে, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি গোসল করলে ত্বকের ক্ষতি হয়।
শীতকালে প্রতিদিন সকালে গোসল করার কুফলগুলো ও গোসল না করার প্রয়োজনীয়তাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো:
ত্বকের ক্ষতি:
শীতকালে প্রতিদিন সকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করেন? তাহলে আপনি আপনার দেহের উপকার করার চেয়ে বরং বেশি ক্ষতি করছেন। কারণ এতে আপনার ত্বক আরো বেশি বেশি খসখসে এবং শুষ্ক হয়ে উঠবে। আর এর ফলে ত্বককে আর্দ্র এবং সুরক্ষিত রাখতে এতে যে প্রাকৃতিক তেল নিঃসরিত হয় তা নষ্ট হয়ে যায়। আপনার যদি প্রতিদিন গোসল করা জরুরি হয় তাহলে শ্যাম্পু এবং শুকনো সাবান ব্যবহার করুন। শীতকালে আপনার গোসলের সময় ১০ মিনিটের চেয়ে কম রাখুন।
নখের ক্ষতি:
শীতকালে প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে গোসল করলে নখগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ গরম পানি দিয়ে গোসল করলে নখগুলো সম্প্রসারিত হয় এবং কুচি কুচি হয়ে যায়। গোসল করার সময় নখ প্রচুর পরিমাণ পানি শুষে নেয়। ফলে নখ গুলো প্রাকৃতিক আর্দ্রতা এবং তেল হারায়।
শীতে ত্বক পরিষ্কার:
গোসলের চেয়ে বেশি কার্যকর হলো শীতে ত্বক পরিষ্কার করে রাখা। বোস্টনের ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. র্যানেল্লা হির্সচ বলেছেন, লোকে শুধু নোংরা হওয়ার কারণেই প্রতিদিন গোসল করেন না বরং সামাজিক রীতির সঙ্গে মানিয়ে চলার জন্যই প্রতিদিন গোসল করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে আমাদের ত্বকের নিজেকে নিজে পরিষ্কার করার কৌশলটি বরং গোসলের চেয়ে বেশি কার্যকর। আপনি যদি প্রতিদিনই শরীরচর্চা না করেন বা না ঘামেন বা এমন কাজ না করেন যাতে আপনার শরীর নোংরা হয় না তাহলে পানি থেকে দূরে থাকুন।
উপকারী ব্যাকটেরিয়া:
রাসায়নিক উৎপন্নের বিষ থেকে রক্ষা করে ত্বক নিজেকে স্বাস্থ্যবান এবং সুরক্ষিত রাখতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করে। কিন্তু প্রতিদিন গোসল করলে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো চলে যায়। সুতরাং শীতকালে দু’দিন অথবা তিন দিন পরপর একদিন গোসল করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ত্বক বিশেষজ্ঞরা এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
