183920

প্রেমিকাকে না পেয়ে বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এক মাদরাসাছাত্রী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুর ১২টায় শ্রীপুর থানা পুলিশ নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত মৌসুমী আক্তার (৮) উপজেলার গাজীপুর উত্তরপাড়া গ্রামের কুদ্দুস আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ইবতেদায়ি শাখার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নিহতের মা রমিজা খাতুন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মনিরুজ্জামানের সঙ্গে তার বোনের মেয়ে লাকী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মনিরুজ্জামান জয় তার নানা গাজীপুর গ্রামের কদম আলীর বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন।

এদিকে, তাদের প্রেমের সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় কয়েকদিন আগে লাকী আক্তারকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন পরিবারের লোকজন। মনিরুজ্জামান কয়েকদিন ধরে প্রেমিকা লাকী আক্তারের সন্ধানের জন্য মৌসুমীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, মনিরুজ্জামানই মৌসুমীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন। এ ঘটনার পর থেকে মনিরুজ্জামান পলাতক রয়েছেন।

নিহতের ভাই ইদ্রিস আলী বলেন, বাড়ির পাশেই গাজীপুর বাজারে এক বাউল গানের অনুষ্ঠান ছিল। এদিকে তার মা স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলেন না। মৌসুমীকে তার ঘরে ঘুমাতে রেখে সে বাউল গান শুনতে যায়। ভোর রাতে বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। এ সময় ঘরে ঢুকে মৌসুমীর রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখে কান্নাকাটি শুরু করেন।

গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম জানান, সংবাদ পেয়ে নিহতের বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় খবর দেয়া হয়। পরে দুপুরের দিকে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এখলাসুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ad

পাঠকের মতামত