
৬৫ বছরের দাদুর সাথে ৬০ বছরের দিদার বিয়ে!
শোনা যায়, ভালবাসা নাকি ভাইরাল ফিভারের মতো কখন আসে, আবার কখন চলে যায় তা কেউ বলতে পারে না। সমর-নমিতা কিন্তু সেই ভাইরাল ফিভারেই আক্রান্ত হলেন।
ষাটোর্ধ্ব দুই হৃদয় মিলে গেল এক সুতোয়। ভালবাসার যে কোনও বয়স হয় না, তা প্রমাণ করে দিলেন জামুড়িয়ার ৬৫ বছরের সমর চট্টোপাধ্যায় ও ৬০ বছরের নমিতা ঘটক।
জামুড়িয়ার ইকরা গ্রামের বাসন্তী মন্দিরে ঘটা করে বিয়ে সম্পন্ন হয় সমর ও নমিতার। শুভদৃষ্টি, মালাবদল, হ্স্তবন্ধন, কনকাঞ্জলি, সিঁদুর দান— সব রীতি মেনেই বিয়ে হয় সমর-নমিতার। উলু, শঙ্খধ্বনিতে সে এক হই হই ব্যাপার।
গ্রামের কমবয়সি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা যায়। আত্মীয়-পরিজন না হলেও বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে সবাই চলে এসেছিলেন বাসন্তী মন্দির চত্বরে।
সবার হাতে মোবাইল ক্যামেরা, চলেছে ফেসবুক লাইভ। কেউ কেউ দাদু-দিদার সঙ্গে সেলফিও তোলেন। খবর এবেলার।
সমর চট্টোপাধ্যায় এতদিন অবিবাহিতই ছিলেন। একটি বিমা সংস্থার এজেন্টের কাজ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই পরিচয় ছিল গ্রামেরই বাসিন্দা নমিতা ঘটকের। তিনিও বিয়ে করেননি।
আত্মীয়তার সুবাদে প্রায়শই তাঁদের বাড়ি যাওয়া আসা ছিল নমিতাদেবীর। সেখান থেকেই সম্পর্কের শুরু। কিন্তু, বয়স বেড়ে যাওয়ায় দুজনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্তে সাহস পাচ্ছিলেন না। পিছিয়ে আসছিলেন এই ভেবে— পরিবার কী বলবে, সমাজ কী বলবে?
এক সময়ে দুই বাড়িতেই তাঁদের মনের কথা জানতে পারে। বাড়ির সদস্যরাই উদ্যোগ নিয়ে বিয়ের আসর বসান।
মঙ্গলবার পাত্রপক্ষের বাড়ি থেকে পাত্রীর বাড়িতে বরযাত্রীও যায়। বৃহস্পতিবার রিসেপশন। তবে, বিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে পাত্রপাত্রী কিছু বলতে নারাজ। ইতস্ততভাবে তাঁরা বলেন, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করার কী দরকার।
তবে শুভবিবাহ সম্পন্ন হয় নির্বিঘ্নেই। পাত পেড়ে সবাই মাছ-ভাত ও মিষ্টিও খান। শুভেচ্ছা জানান নববধূকে।