
‘প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে দেড়লাখ স্মার্টকার্ড’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বিদেশীদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের দক্ষ জনবল দিয়ে প্রতিদিন নতুন ১ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট কার্ড বের হচ্ছে। যা আগের থেকে ১০ গুণ বেশি।
শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কনফারেন্স রুমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৭ জেলায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে সিইসি এসব কথা বলেন । এ সময় ৮ টি জেলার প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিইসিসহ চার কমিশনার ও সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, ‘মহান বিজয়ের মাসে জেলা পর্যায়ে স্মর্ট কার্ড বিতরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। যে নাগরিকদের মুক্তির জন্য ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছিল, সেই নাগরিকের স্মর্ট পরিচয়পত্র দিতে পারছি এটা আমাদের সৌভাগ্য।’ দেশের তরুণদের কাজে লাগিয়ে স্মর্টা কার্ড উৎপাদন হচ্ছে জানিয়ে সিইসি বলেন, গত ২৭ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের দক্ষ তরুণদের দিয়ে স্মর্ট কার্ড উৎপাদন, মুদ্রণ ও বিতরণ হচ্ছে। পৃর্বে বিদেশীদের মধ্যেমে এটি পরিচালিত হত। বর্তমানে বাংলাদেশীদের মাধ্যেমে এসব কাজ হওয়ায় আমাদের ১৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
যেসব এলাকায় শুক্রবার বিতরণ শুরু:
ফরিদপুর অঞ্চল: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও শরীয়তপুর সদর।
চট্টগ্রাম অঞ্চল: বান্দরবান সদর, খাগড়াছড়ি সদর, কক্সবাজার সদর ও রাঙামাটি সদর।
বরিশাল অঞ্চল: পিরোজপুর সদর, পটুয়াখালী সদর, ঝালকাঠি সদর ও বরগুনা সদর।
খুলনা অঞ্চল: মেহেরপুর সদর, বাগেরহাট সদর ও নড়াইল সদর।
সিলেট অঞ্চল: হবিগঞ্জ সদর ও সুনামগঞ্জ সদর।
রাজশাহী অঞ্চল: বগুড়া সদর, জয়পুরহাট সদর ও পাবনা সদর।
ময়মনসিংহ অঞ্চল: নেত্রকোনা সদর।
রংপুর অঞ্চল: কুড়িগ্রাম সদর, লালমনিরহাট সদর ও পঞ্চগড় সদর।
কুমিল্লা অঞ্চল: নোয়াখালী সদর।
এর আগে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। ২২ নভেম্বর ঢাকার সাভার, ২৬ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং ২৮ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনে স্মার্টকার্ড বিতরণ শুরু হয়।
সূত্র: বিডি২৪লাইভ