183325

পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ অত্যন্ত জটিল একটা ব্যাপার। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।’ বৃহস্পতিবার পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল কাজের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ ছাড়া একটা দেশকে আমরা উন্নত, সমৃদ্ধশালী করতে পারব না। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বহুমুখী পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। হয়তো জাতির পিতা যদি আমাদের মাঝে থাকতেন, তাহলে অনেক আগেই এটা হয়ে যেত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই আমি রূপপুরের এ জায়গাটিতে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র কীভাবে নির্মাণ করা যায়, তার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। ২০০১-এ বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে অন্যসব প্রকল্পের মতো ওই প্রকল্পও পরিত্যক্ত করে দেয়। এরপর ২০০৮-এ ক্ষমতায় এসে আবার উদ্যোগ নিই। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কী কী দরকার, তা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণে বিশাল অঙ্কের টাকা দরকার। এ টাকা কোথায় পাব? । আমি যখন রাশিয়ায় যাই, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলাপ করি, তিনি আমাকে জানান, পরমাণু কেন্দ্রটা করে দেবেন, যা টাকা লাগে, তিনি আমাদের দেবেন। সে জন্য রাশিয়া ফেডারেশন ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হতে যাচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটামের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ অর্থঋণে সরবরাহ করছে রাশিয়া। প্রতিটি এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। দুটি ইউনিট মিলিয়ে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। আগামী ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট ও পরের বছর ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে টানা ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। সূত্র: এনটিভি

ad

পাঠকের মতামত