
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে সময়মতো আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বকশিবাজারের আলীয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই পরোয়ানা জারি করেন।
এদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন আদালতে আসতে পারবেন না জানিয়ে আদালত নির্দেশ দিলে বেলা দুইটার পর হরতাল শেষে আসবেন বলে আদালতকে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। কিন্তু বিচারক তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, এখন বেলা ১২টা বাজে। এখনো তিনি আসেননি এটা অনভিপ্রেত। পরে তিনি দুই মামলায় জামিন বাতিল করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, হরতালে নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়া আজ সময় অনুযায়ী আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাই আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ৭ ডিসেম্বর।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল পালন করছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বাম দলগুলোর এ হরতালে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বিএনপির।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকাবস্থায় একই আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। দেশে ফিরেই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহেই তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক।
আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় অপর মামলাটি করা হয়।