182919

শেষ মুহূর্তের ম্যাশ ধামাকায় রংপুরের দুর্দান্ত জয়!

চলতি বিপিএলের পঞ্চম আসরে রংপুর রাইডার্সের ম্যাচগুলোর বেশিরভাগই টান টান উত্তেজনাপূর্ণ। ম্যাচের ভাগ্য বারবার একেকদিকে হেলে পড়ে।

আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ১৪৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া রংপুর রাইডার্সকে বিজয়ের আনন্দে ভাসালেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আর নাহিদুল ইসলাম। যদিও জয়ের ভিতটা আগেই রচনা করে দিয়েছিলেন ম্যাককালাম, জিয়াউর আর রবি বোপারারা। দুর্দান্ত টিম পারফর্মেন্সে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিল ম্যাশ বাহিনী।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বড় ধাক্কা খায় রংপুর রাইডার্স। দলীয় ৭ রানেই হার্ডহিটার ক্রিস গেইলকে (৫) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তানবীর হায়দার। গেইলের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওপেন করায় আজকের ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। দুজনে মিলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।

মাত্র ১৮ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৩৬ রান করা জিয়াউর রহমান নাবিল সামাদের বলে এবং নুরুল হাসানের কৃতিত্বে স্টাম্পড হলে ভাঙে এই জুটি।

ম্যাককালামের সঙ্গী হন মিথুন। গত ম্যাচগুলোতে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ম্যাককালাম আজ ইনিংস বড় করায় মনযোগী হন। তবে মিথুন ১৮ রানে ব্রেসনানের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। এরপর ম্যাককালাম ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ৩ ওভার বাউন্ডারিতে ৪৩ রানে ক্যাচ দেন। শিকারীর নাম আবুল হাসান।
আফগান অল-রাউন্ডার সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ০ রানেই দুর্ভাগ্যজনক রান-আউটের শিকার হন। তবে ওই মুহূর্তে অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে দলের হাল ধরেন রবি বোপারা। রাব্বির বলে দুইবার ক্যাচ দিয়ে নাবিল সামাদের কল্যাণে দুইবারই বেঁচে যান বোপারা। এরপরও অকারণে দুই রান নিতে গিয়ে রান-আউট হয়ে যান এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ১৭ বলে তার সংগ্রহ ২০ রান। শেষটা অধিনায়ক মাশরাফি এবং নাহিদুল ইসলাম রাঙিয়ে দেন। রংপুর রাইডার্স জয় পায় ৪ উইকেটে। মাশরাফি ১৭ এবং নাহিদুল ১৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে আজ মঙ্গলবার দিনের প্রথম খেলায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে সিলেট সিক্সার্স। দলীয় ১৪ রানেই নাজমুল ইসলামের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান (৫)। তিন নম্বরে নেমে নাজমুলকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়েছিলেন অধিনায়ক নাসির। কিন্তু টাইমিং মিস করায় স্টাম্পড হওয়া থেকে বাঁচতে পারেননি। করেছেন মাত্র ৪ রান।

অপর ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার হাত খুলে খেলছিলেন। তাকে সামিউল্লাহর তালুবন্দি করে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন নাজমুল। এরপরই বাবর আজম আর সাব্বির রহমানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। ৩৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করার পর ৫৪ রানে রান-আউট হয়ে যান বাবর। এই রান-আউটেও অবদান সেই নাজমুলের। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব রংপুর অধিনায়ক মাশরাফির। তার অসাধারণ এক বলে বোকা বনে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ৩৭ বলে ৫ চারে ৪৪ রান করা সাব্বির।

১৯ তম ওভারের তৃতীয় বলে সাব্বির আউট হওয়ার পর হুইটলি ১১ বলে ১৭ এবং ব্রেসনান ৫ বলে ১৬ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৭৩ রান। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১৮ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নাজমুল ইসলাম। এই পরাজয়ে শেষ চারে যাওয়া নিয়ে শংকায় পড়ে গেল সিলেট সিক্সার্স।

ad

পাঠকের মতামত