182868

তাসকিনের শ্বশুর জৈনপুরী পীর সৈয়দ আল্লামা মাহবুবুর রহমান

 

তাসকিনের স্ত্রী সৈয়দা’ রাবেয়া নাঈমা জৈনপুরী পীর সৈয়দ আল্লামা মাহবুবুর রহমানের কন্যা। একজন পীরের মেয়ের এমন বিবাহ মেনে নিতে পারেননি তার কিছু ভক্ত। এমনই একজন ভক্তের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিছে হুবুহু তুলে ধরা হলো।

‘তাসকিনের শ্বশুর জৈনপুরী পীর সৈয়দ আল্লামা মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী পীর সাহেব সৈয়দ আল্লামা মাহবুবুর রহমানের মেয়ে ‘সৈয়দা’ রাবেয়া নাঈমা। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ে।

একই ভার্সিটিতে পড়ে ক্রিকেটার তাসকিন। পড়তে পড়তে এবং একই সঙ্গে চলতে চলতে দু’জন একে অপরের কাছাকাছি আসে। মন দেয়া-নেয়া হয়। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক শেষে দু’জন এসে এক মোহনায় মেশে। পরিবারের সম্মতিতে অতি সম্প্রতি দু’জনার বিয়ে হয়।

পত্রিকায় ‘পীর সাহেব’ সমেত বর-কনের ছবি এসেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ‘চমৎকার’ সেই দৃশ্য দেখেছে।

তাসকিনের শ্বশুর জৈনপুরী পীর সৈয়দ আল্লামা মাহবুবুর রহমান খোলা মন নিয়ে দেখতে গেলে, এসব কোনো বিষয় না। একটা মেয়ে ভার্সিটিতে পড়তেই পারে। কারো হৃদয়ের কাছাকাছি সে আসতেই পারে। কারো সঙ্গে তার মন দেয়া-নেয়া হতেই পারে। এগুলো ওদিককার নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।

কিন্তু, যখন শুনি মেয়েটি পীর সাহেবের। তাও আবার ‘সৈয়দ’ বংশের, তখন মনটাকে কিছুটা ‘সংকীর্ণ’ করতেই হয়। পীর সাহেবরা মুরিদদের মেয়েদেরকে পর্দায় চলতে বলেন। আল্লাহর আদেশ-নিষেধের কথা বলেন। সাধারণ মানুষরা তাদের বয়ান শুনে পরিবর্তন হওয়ার চেষ্টা করেন।

যখন শোনা যায় স্বয়ং পীর সাহেবই ‘উল্টোপথে’ চলেন, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় এই পীর সাহেব পোশাকী। গুণে নয়, নামে এঁদের পরিচয়। সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে এঁরা ধোঁকাবাজি করেন। ‘পীর’ শব্দটা এদের কাছে খেলো, জীর্ণ এবং মামুলি। অথবা উপার্জনের হাতিয়ার।

সুতরাং এদের থেকে সাবধান! হুঁশিয়ার!’

ad

পাঠকের মতামত