182791

‘স্ত্রী খরুচে’, ডিভোর্স চান মেয়র!

খরুচে বউ, আর ব্যয় বহন করতে পারছেন না, তাই মুক্তি চান মেয়র। নিম্ন আদালতের কাছে কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী প্রতীমপ্রিয় দাশগুপ্ত সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন।
২০০৬ সাল থেকেই স্ত্রী রত্নার সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তৃণমূল নেতা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।

মতের অমিলের কারণেই প্রথমে আলাদা ঘরে বসবাস শুরু করে দু’জন। এরপর শোভনের বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান রত্না। সময় যত গড়াতে থাকে দু’জনের মধ্যে দূরত্বও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে কলকাতার মেয়রের অভিযোগ আরও মারাত্মক! স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জি অত্যাধিক খরচ করেন। সামাল দিতে পারছেন না মেয়র। তাই আইনি বিচ্ছেদ চাইছেন শোভন চ্যাটার্জি।

সূত্রের খবর, আগামী মাসের ১৩ তারিখ আদালতের কাছে লিখিত আবেদন জানাবেন মেয়রের স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জি।
উল্লেখ্য, বিচারকের কাছে বিচ্ছেদের আবেদনে কলকাতা পুরসভার ‘সাহেব’ আইনজীবী মারফৎ জানিয়েছেন, শুধু ব্যয়বহুল জীবনযাপনই নয়, রত্না চ্যাটার্জি তার অনুমতি না নিয়েই বহু ক্ষেত্রে অন্যের জন্য রাখা চেক নিজেই ভাঙিয়ে নিয়েছেন।

স্ত্রীর প্রতি যে শোভন চট্টোপাধ্যায় সদা কর্তব্যপরায়ন থেকেছেন সেকথাও লিখিত আবেদনে আদালকে জানিয়েছেন মেয়রে আইনজীবী।
ওই লিখিত আবেদনে মেয়রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এতদিন স্ত্রীর সব বায়না মুখ বুজেই সহ্য করেছেন তিনি, মিটিয়েছেন সব আবদারও। এমনকি কর্মসূত্রে দেশের বাইরে গেলেও স্ত্রীর খরচের জন্য আলাদা করে টাকা রেখে যেতেন মেয়র। তবে, এইভাবে আর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না তিনি। বাধ্য হয়েই পাকাপাকি বিচ্ছেদের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

স্বামী হিসেবে যা দায়িত্ব পালন করার তিনি করেছেন। বাবা হিসেবেও যে তিনি ‘ওয়ার্ল্ডের বেস্ট ড্যাডি’, তাও ‘প্রমাণ’ করতে চাইছেন শোভন। আর সেই জন্যই ১৩ বছরের মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের (২১) জন্য আলাদা করে কোনও কথাই বিচ্ছেদের আবেদনে উল্লেখ করেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। -জি নিউজ।

ad

পাঠকের মতামত