182759

লুইস তাণ্ডবে চিটাগংকে পাত্তাই দিল না সাকিবের ঢাকা

আগে ব্যাট করতে নেমে বড় স্কোর গড়েছিল লুক রনচির নেতৃত্বাধীন চিটাগং ভাইকিংস। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে স্বয়ং রনচি এবং এনামুল হক বিজয় জোড়া হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন।

কিন্তু ১৮৭ রানটা এক এভিন লুইসের কাছেই ছোট হয়ে গেল। ৩১ বলে ৭৫ রানের ঝড় তুলে ঢাকাকে এনে দিলেন ৭ উইকেটের বড় জয়। ৪৪ রান করা ড্যানলি আর ৪৩ রানে অপরাজিত ডেলপোর্টের অবদানও অস্বীকারের উপায় নেই। তবে চিটাগংকে মূলতঃ ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ক্যারিবীয় হার্ডহিটার লুইস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে দলীয় ১ রানেই শহীদ আফ্রিদিকে (০) হারিয়ে বিপদে পড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। আফ্রিদিকে রনচির ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিন। তবে এভিন লুইস এবং জো ড্যানলি দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ১১৮ রানের বিশাল জুটি। দলের বিপদ কাটিয়ে ৩১ বলে ৩ চার এবং ৯ ছক্কায় ৭৫ রানে আউট হন লুইস।

৩৯ বলে ৪৪ করা ড্যানলি তানবীর হায়দারের বলে সিকান্দার রাজার হাতে ধরা পড়লে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় ঢাকার। একটু থমকে যায় রানের গতি। কিন্তু ডেলপোর্টকে নিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ২৪ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৪৩ রানে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডেলপোর্ট। ১৭ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সাকিব।

এর আগে আজ সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো সূচনা করে চিটাগং ভাইকিংস। তবে দলীয় ১৭ রানেই সুনিল নারাইনের বলে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য সরকার। গত ম্যাচে বেশ ভালো ব্যাটিং করা সৌম্য আজ ৫ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন। তবে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন রনচি। হাত খুলতে শুরু করেন এনামুল হক বিজয়ও।

সাকিব-আফ্রিদিদের বলগুলো একের পর সীমানার বাইরে আছড়ে পড়তে লাগল। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫৯ রানে সাকিবের শিকার হলেন রনচি। ভাঙল ১০৭ রানের দারুণ এক জুটি। ততক্ষণে অবশ্য ৪টি ছক্কা খেয়ে ফেলেছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। ভ্যান জাইলের ভাগ্য খারাপ। এনামুলের আহ্বানে সাড়া দিতে গিয়ে রান-আউট হয়ে গেলেন ২ রানে। এরপরই ৪৭ বলে ৩ চার ৬ ছক্কায় ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আবু হায়দারের বলে ডেলপোর্টের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন এনামুল। শেষদিকে নাজিবুল্লাহ (১৬) এবং সিকান্দার রাজার (২৬*) ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে চিটাগং।

ad

পাঠকের মতামত