182722

জীবনের শেষ চিঠিতে যা লিখে গেলেন এই গৃহবধূ!

 

স্বামীর চাপের মুখে শেষপর্যন্ত চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন গড়িয়ার সারদা পার্কের আত্মঘাতী গৃহবধূ অনন্যা সাঁই। এমনকী, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের কাছে যে কোনও একটা চাকরি জোগাড় করে দিতে অনুরোধও করেছিলেন উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তর অনন্যা।

গত শুক্রবার সকালে সারদা পার্কের ফ্ল্যাট থেকে অনন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, চাকরি নিয়ে স্বামীর কাছ থেকে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছিল দিনের পর দিন। একেবারে শেষের দিকে বাবা-মায়ের কাছে কিছুটা ইঙ্গিত দিলেও পরিস্থিতি যে এতটা খারাপ জায়গায় পৌঁছেছিল, সে কথা খুলে বলেননি অনন্যা। খবর এবেলার।

রবিবার তাঁর ভাই অরিজিৎ কোনার বলেন, ‘‘দিদি ভীষণ চাপা স্বভাবের ছিল। স্বামীর অত্যাচারের কথা আমরা সেভাবে জানতে পারিনি। দিদি কিছু কিছু কথা বাবা-মা’কে বলত। তা থেকে আমরা কিছুটা আঁচ করতাম। কিন্তু দিদির উপর যে এতটা অত্যাচার হচ্ছে তা যদি একটু আগে বলত, তাহলে হয়তো এই পরিণতি হতো না।’’

মৃত্যুর আগে লেখা চিঠি।

অরিজিৎই জানালেন, তাঁর দিদি ভিতরে ভিতরে শিক্ষকতার চাকরির জন্য এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পাশাপাশি, কয়েকজন আত্মীয়ের কাছে চাকরি খুঁজে দিতেও বলেছিলেন অনন্যা। কিন্তু সেই তাগিদ যে স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির মারাত্মক চাপের জন্য, তা প্রথম থেকে বুঝতে পারেননি তাঁরা।

অরিজিতের কথায়, ‘‘আমি চাই জামাইবাবুর (অর্ণব সাঁই) উপযুক্ত শাস্তি হোক। যাতে চাকরির জন্য চাপ দেওয়ার আগে কেউ দু’বার ভাবে।’’

এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অর্ণবের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অনন্যার পরিবারের। বিয়ের আগে অর্ণবের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছিল অনন্যার পরিবার। ছেলে বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করে। তাই ভালই মনে হয়েছিল অনন্যার পরিবারের। এছাড়া, অর্ণব সম্পর্কে অনন্যা প্রথমে কিছু অভিযোগ না করায় সকলেই তাঁদের দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে নিশ্চিন্তেই ছিলেন।

বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই অবশ্য সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ, চাকরি করার জন্য চাপ দিতে থাকে অর্ণব। অরিজিৎ বলেন, ‘‘এখন তো শুনতে পাচ্ছি জামাইবাবু নাকি নেশা করে বাড়ি ফিরত। আমরা এসব জানতাম না।’’

ad

পাঠকের মতামত