182317

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ইসলাম, নারী ও নব্য নাৎসিবাদ নিয়ে যা বললেন

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান নিউইয়র্ক টাইমসের একটি সাক্ষাৎকারে বৃহস্পতিবার ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির কট্টর ধর্মভাবধারার সমালোচানা বলেন, আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনী ‘মধ্যপ্রাচ্যের নতুন হিটলার’।

তিনি আরো বলেন, আমরা ইউরোপ থেকে শিখেছি যে, কোন ধরণের কলুষতা রাষ্ট্রের উন্নয়নের পিছনে কাজ করে না। আমরা মধ্য এশিয়া ও ইউরোপে যা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা চাই না ইরানে কোন নতুন হিটলারের জন্ম হোক।

মুহাম্মাদ বিন সালমান দূর্নীতি বিরোধী অভিযান সম্পর্কে বলেন, ১৯৮০ থেকে আমাদের দেশের র্দূর্নীতিবাজরা দেশের ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করে আসছে। তিনি বলেন, সরকারী ব্যয়ের প্রায় ১০ শতাংশ দূর্নীতিবাজদের পেটের খোরাক হয়ে আসছে। কিন্তু কেউ সাহস করে তাদেরকে দমন করার সাহস পাচ্ছিলো না। বর্তমান সৌদিতে দূর্নীতি দমনের অভিযান দেশের উন্নতির জন্য অবশ্যক ছিলো।

প্রিন্স বলেন, ইয়েমেনে হুতিদের সাথে সরকার বাহিনীর সংঘর্ষ আর দেশগুলোর উন্নয়নে আরেকটি বাধা বলে মনে করি আমি। তিনি বলেন, ইমেনের প্রায় ৮৫ ভাগ ইয়েমেন ও আরব জোট সৈন্যবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর বাকি এলকা ও অতি অল্প সময়ে উদ্ধার করা যাবে।

নিউইয়র্ক টাইমসের সেই সাক্ষাৎকারে, মুহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘আমরা ইসলাম পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি। আমরা সত্যিকারের ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি। আমাদের চলার পথের সবচেয়ে বড় পথ পদর্শক হযরত মুহম্মাদে আরাবী (সা.)। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন মুহাম্মাদ (সা.)-এর সময়ে তিনি আরব্য খ্রিস্টান ও ইহুদীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। মুসলিম অমুসলিমরা এক সাথে বসবাস করতো। পুরুষ মহিলা ও নানান কাজ করতো। যেমন মদিনাতে প্রথম বাণিজ্যিক বিচারক ছিলেন একজন মহিলা। সুতরাং নবীর জামানায় যদি মহিলারা মর্যাদা পেয়ে থাকে আমরাও তাদেরকে মর্যাদা দিবো।

সাক্ষাৎকারে মুহাম্মাদ বিন সালমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি’ বলে প্রশংসা করেন। যোগ করেন যে, তার সমর্থনের কারণে সৌদি আর তার দেশের মিত্রতা ধীরে ধীরে ইরানের বিরুদ্ধে জোট গঠন করতে সহজ হয়ে ওঠছে। আল-আরাবিয়া

ad

পাঠকের মতামত