182220

মর্মান্তিক ঘটনা: প্রেমিকার বাড়ির দাওয়াত খেয়ে এসেই কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা!

ছেলে ও মেয়ের পরিবারের আর্থিক এবং সামাজিক অবস্থানে অনেক ফারাক। মেয়ের বাবা পেশায় স্কুল শিক্ষক আর ছেলের বাবা পেশায় হকার। আর সেই সামাজিক বৈষম্যের কারণেই মেয়ের প্রেমিককে বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে চরম অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রেমিকা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
ভারতের নদিয়ার ধানতলায় এক কলেজ ছাত্রের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। মৃত ওই কলেজ ছাত্রের নাম সুরজিৎ মজুমদার।

বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুরজিৎ আত্মহত্যার আগে একটি কাগজে তার প্রেমিকা এবং প্রেমিকার বাবা ও মাকে দায়ী করে সুসাইড নোটও লিখে গিয়েছে বলে দাবি মৃতের পরিবারের। সূত্রের খবর, ধানতলা থানার বরবরিয়া কলোনির পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সুবোধ মজুমদার পেশায় হকার। বিভিন্ন মেলায় বাদাম বিক্রি করে বহু কষ্ট করে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুবোধবাবু তাঁর একমাত্র সন্তান সুরজিৎ মজুমদারকে উচ্চশিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র সুরজিৎ লেখাপড়ায় ভালও ছিল।

জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে পানিখালির বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুরজিতের। অভিযোগ, গত কয়েক মাস আগে ওই যুবতী জানতে পারে সুরজিতের বাবা পেশায় হকার এবং তাঁদের নিজেদের পাকা বাড়িও নেই। এই বিষয়টি জানার পর থেকেই সামাজিক বৈষম্যকে সামনে রেখে সুরজিতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে তাঁর প্রেমিকা। অভিযোগ, তার পরও সুরজিৎ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলে গত বুধবার ওই যুবতী নিমন্ত্রণ করে সুরজিৎকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই প্রেমিকা, তাঁর পেশায় স্কুল শিক্ষক বাবা ও মা সুরজিৎকে চরম অপমান করেন। আর এর পরই বাড়ি ফিরে রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সুরজিৎ।

বৃহস্পতিবার ধানতলা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে সুরজিৎ নিজের মৃত্যুর জন্য তাঁর প্রেমিকা এবং তাঁর বাবা ও মাকে দায়ী করেছেন। শুক্রবার সুরজিতের পরিবার ধানতলা থানায় ওই প্রেমিকা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিকা এবং তাঁর পরিবার। তাঁদের সন্ধান শুরু করেছে ধানতলা থানার পুলিশ।

ব্যক্তিগত জীবনে সোলাইমান স্ত্রীসহ পুরান ঢাকার একরুমের বাসায় থাকেন। এখন ছবির পার্শ্ব অভিনয় ছাড়া আর কোনো কাজ হাতে নেই। অভিনয় করেই মাস চলে যায়। সংসার এভাবেই চলে কি না, জানতে চাইলে বলেন, চলে যায় কোনোভাবে। কোনো সন্তান নেই। আসলে কি নেই? কথার পরিস্কার অর্থ বোঝা গেল না।

হয়তো আক্ষেপ থাকতে পারে বা সন্তানেরা দেখভাল করেন না কিংবা আসলেই সন্তান নেই কিংবা বলতেই চান না পারিবারিক কথা। এসব কথা বলতে গিয়ে চোখ ছল ছল করা অভিনেতা সোলাইমান প্রতিবেদকের সামনে অভিনয় করতে পারলেন না।
-কালের কণ্ঠ

ad

পাঠকের মতামত