
কেন এভাবে ট্যাটু আঁকছে মন্দিরে সন্নাসীরা? এর রহস্য জানলে চমকে উঠবেন!
সারাবিশ্বে ট্যাটু হল সুপরিচিত একটা ফ্যাশন। তবে তাঁরকাদের মাঝে বেশি দেখা যায় ট্যাটু আঁকতে। বিশেষ করে ফুটবল প্লেয়ারদের মাঝে আমরা ট্যাটু আঁকার প্রবণতা বেশি দেখতে পাই। তবে এই ট্যাটু অনেক ফ্যাশনের জন্য আঁকেন আবার অনেকে দেখা যায় ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে ট্যাটু আঁকে থাকেন। সারাবিশ্বের মধ্যে এই ট্যাটুর প্রচলন থাইল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি। যাইহোক আজকে জুমবাংলার পাঠকের জন্য থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী ট্যাটু নিয়ে আলোচনা করবো যার কথা শুনলে আপনি চমকে উঠবেন।
থাইল্যান্ডে ট্যাটু আঁকানোর ক্ষেত্রে রয়েছে বিশাল ইতিহাস। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্যাটু আঁকানো হয় ‘ওয়াট ব্যাং ফেরা’ মন্দিরে। প্রতি বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে এ মন্দির ভরে যায় হাজার হাজার মানুষে। তার কেউ এ সময় মন্দিরে পূজার উদ্দেশ্যে আসে না। তারা আসে মন্দিরের সন্ন্যাসীদের কাছ থেকে ট্যাটু আঁকিয়ে নিতে।
আপনি শুনে অবাক হবেন যে, থাইল্যান্ডের মানুষ শরীরে এসব ট্যাটু আঁকান সৌন্দর্যের পাশাপাশি রহস্যময় শক্তি পাওয়ার আশায়। তারা বিশ্বাস করেন, সন্ন্যাসীদের আঁকানো এসব ট্যাটু তাদেরকে খারাপ আত্মা, শয়তান ও খারাপ নারীদের হাত থেকে রক্ষা করে।তবে এ ধরনের ট্যাটু করার পর ট্যাটু ধারণকারীকে দুটি জিনিস মেনে চলতে হয়।
প্রথমত, ট্যাটু আঁকানোর পর থেকে সে আর তার পিতামাতাকে কোনো কাজে দোষারোপ করতে পারবে না। দ্বিতীয়ত হলো, সে কোনো পরস্ত্রীর সাথে প্রতারণা করতে পারবে না। সত্যি মানুষের বিশ্বাসের ধরণ একেক দেশে একেক রকম।