বিকেল পর্যন্তও ছিলেন যে ব্যাক্তি ভিখারী ছিলেন সন্ধ্যা না গড়াতেই হয়ে গেলেন ভিআইপি!
‘কপাল যদি না হয় ফাঁকা/ ঘুরতেও পারে ভাগ্যের চাকা।’ হ্যাঁ চাকা ঘুরেছে বইকি। আর এই ঘুরে যাওয়ার ঘটনায় এখন রাতারাতি লাখপতি শেখ হজরত আলি। সোমবার বিকেল পর্যন্ত তিনি ছিলেন এক ভিখিরি। সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতেই এক্কেবারে ভিআইপি বনে যান। জিতেছেন লটারি। পুরো ৫১ লাখ ভারতীয় টাকা। আর এতেই ফকির হয়ে গেছেন বাদশাহ।
ভারতের কোচবিহার জেলার বিচ্ছিন্ন এলাকা হলদিবাড়ির ঘটনা। খবর চাউড় হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে লোক আসছেন হজরতকে দেখতে। নিরাপত্তার জন্য বারান্দায় রাত কাটানো হজরতকে এখন পরিপাটি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন লটারি বিক্রেতা সুভাষচন্দ্র রায়। লোকজন দেখা করতে এলে তারাই নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। যদিও রোববারও হজরতের রাত কেটেছে হলদিবাড়ির বরেরডাঙার শৈলেন রায়ের চায়ের দোকানের বারান্দায়।
কপাল ফিরতে শুরু করে ১৮ ডিসেম্বর থেকে। ওই দিন তিনি লটারিতে ৭২ হাজার টাকা পান। পরের দিনই লেগে যায় প্রথম পুরস্কার ৫১ লক্ষ টাকা। এদিন আবার ৩ হাজার টাকা পেয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন লটারিপ্রাপ্তিতে। এমন ঘটনায় এলাকার মানুষ রীতিমতো হতবাক। হলদিবাড়ি এলাকায় তাই এখন একটাই আলোচনা। জানা গেছে, হজরতের টিকিটের নম্বর ছিল ৯৪ বি ৩৫১৭৬। শেখ হজরত আলির বয়স ৭০ বছর। বাড়ি মুর্শিদাবাদের গোড়াইপুর গ্রামে। বাড়িতে স্ত্রী রয়েছেন। স্ত্রীর বয়স ৬০ বছর। এক ছেলেও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হজরত আলি এক বছর থেকে হলদিবাড়ির বরেরডাঙা এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেন। বরেরডাঙার শৈলেন রায়ের চায়ের দোকানের সামনের বারান্দাই ছিল তার রাত্রিযাপনের জায়গা।
হঠাৎই লাখপতি হওয়ায় নিজেও বিস্মিত তিনি। এত টাকা দিয়ে তিনি কী করবেন প্রশ্ন করা হলে বলেন, আল্লার টাকা, আল্লা যা করার করবেন!’ কোনওরকম তাপ–উত্তাপ নেই তাঁর মধ্যে। লটারির টিকিটটি লটারি বিক্রেতা সুভাষচন্দ্র রায়ের মাধ্যমে লটারি এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। হজরত আলি নিরাপত্তার জন্য লটারি বিক্রেতা সুভাষচন্দ্র রায়ের বাড়িতেই থাকছেন। তার মুর্শিদাবাদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে।