‘শাকিবের প্রিয়তমা আমিই’
বুবলী। হালের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী। ইতিমধ্যে চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। চারটিই শাকিব খানের বিপরীতে। আরও কয়েকটি ছবিতে জুটি বাঁধছেন তারা।
কেমন আছেন?
বেশ ভালো আছি। কিছুটা ব্যস্তও বটে।
কী নিয়ে এত ব্যস্ততা?
বর্তমানে ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রাথমিক কথা-বার্তাও চলছে।
শোনা যাচ্ছে, শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে আপনি অভিনয় করছেন…
হ্যাঁ, কথাটা সত্য। আসলে এই ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম ছয় মাস আগে। হিমেল আশরাফ তখন ছবির কাহিনী শুনিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন শাকিব খান ও আমাকে নিয়ে এটি নির্মাণের। এর মধ্যে শাকিব খানও বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তাই চিত্রনাট্য হাতে পাননি তিনি। সম্প্রতি ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’ শুটিংয়ের ফাঁকে শাকিব খান গল্পটি শোনেন।
তারও মনে ধরে এটি। একটা পর্যায়ে ছবিটি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। সত্যি বলতে কি ছবিটির কাহিনীতে ভিন্নতা রয়েছে।
ছবি তৈরির আগে বেশির ভাগ সময় ‘কাহিনীর ভিন্নতা’ কথাটা শোনা যায়…
আপনার কথাটা ফেলে দিতে পারব না। কিছুটা হলেও সত্য। তবে ‘প্রিয়তমা’ ছবিটির কাহিনী সত্যি একটু ভিন্ন। বাকিটা না হয় পর্দা উঠলেই বোঝা যাবে। এ ছাড়া শাকিব খানের মতো সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করা যে কোনো নায়িকার জন্য বড় পাওয়া বলে মনে করি। সেখানে তার নিজের প্রোডাকশন হাউস থেকে কাজের সুযোগ পাওয়া আরও সৌভাগ্যের। এটি আমার জন্য অন্যতম মাইলফলক হবে।
তার মানে শাকিব খানের প্রিয়তমা আপনি?
হা. হা.. হা… সিনেমাটিক ওয়েতে বললে তাতো বলতেই হয়। ছবিতে শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ আমি।
আর হার্টর্িবট প্রোডাকশনের ছবিটা…
আশিক ভাইয়ের কাজ এক কথায় দুর্দান্ত। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ভালো কাজ করেছেন তিনি। তা ছাড়া তাপসী ম্যাডাম একজন সিনেমাপ্রেমী মানুষ। তাই এই প্রোডাকশনের কাজ করা মানে আরও ভালো কিছু শেখা। এই ছবিতেও শাকিবের বিপরীতে দর্শকরা পাবেন আমাকে। তবে শিগগিরই তাদের (দর্শকদের) জন্য চমক রয়েছে সামনে।
চমক, একটু পরিষ্কার করে বলবেন কি?
শিগগিরই নতুন নায়কের বিপরীতে দেখা যাবে আমাকে। এ ছাড়া একটি ধারণা পরিষ্কার করতে চাই। আমার এবং শাকিবের যে ছবিগুলো নির্মিত হচ্ছে বা সামনে হবে সেগুলো তো আর এক সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে না। আরও ২ থেকে ৩ বছর লেগে যাবে এগুলো ফাঁকে ফাঁকে পর্দায় উঠতে। আমাদের ছবি মুক্তি পেয়েছে মাত্র ৪টি। আসলে অন্য নায়কের সঙ্গে এখনো ছবি মুক্তি না পাওয়ায় মনে হচ্ছে আমরা যেন জুটি বেঁধে কত ছবি করে ফেলেছি।
এই স্বল্প ক্যারিয়ারে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি…
কোনো অনুষ্ঠানে দর্শকরা যখন আমাকে চেনে, সেলফি তুলতে চায় তখন বিষয়টা সত্যি আনন্দের। চেষ্টা করছি অভিনয়ের সেরাটা নিংড়ে ঢেলে দিতে। এ ছাড়া পরিচালক হিসেবে নবীন এবং প্রবীণের সঙ্গে কাজের সুযোগ হচ্ছে আমার। তরুণরা নিত্যনতুন আইডিয়া ছবিতে আনছেন। যা সিনেমার জন্য পজেটিভ। আর প্রবীণদের সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। দুই প্রজন্মের পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। উৎস : বিডি প্রতিদিন।