179956

এই তাড়কাদের ডিভোর্সের পর কে কি করছেন; কেমন কাটছে তাদের জীবন?


কেমন কাটছে তাদের জীবন- তারকারাও রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। তাঁদেরও জীবন আছে। অনুভূতি আছে। তাঁরাও সুখের আশায় দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। অনেকেই সেটা টিকিয়ে রাখতে পারে না । সংসার ভাঙ্গার পরে একাকিত্ব জীবন। সবাই পারে না নতুন করে কিছু শুরু করতে। একাকিত্ব জীবনের গল্প-

হাবিব ওয়াহিদ
মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কে টানাপোড়নের ঘটনা নতুন কিছু নয়। আমাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। ৫ বছরে আমরা একে অপরকে জানার সময় পাই। ক্রমে বুঝতে পারি যে, আমাদের লাইফস্টাইল ভিন্ন ও এক পর্যায়ে আমরা দু’জনই এটা উপলব্ধি করি যে, আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমাদের শান্তি পূর্ণজীবন যাপনের জন্য সবচেয়ে উত্তম সমাধান।

সম্পর্কটা দুজনার সমঝোতায় হয়। একে অন্যকে ছাড় দিতে হয়। কোন মানুষই ভুলের উর্দ্ধে নয়। আমরা যখন প্রেম করি। তখন কিন্তু অনেক কিছু ছাড় দেই। কিন্তু সংসার করতে গেলে যতসব আমার, এটাই হবে এরকম শব্দগুলো চলে আসে। সবাই পারে না সবকিছু সহ্য করতে। আমিও পারি না।

ডিভোর্সের আসলে আমার কোনো ইফেক্ট নেই। আমি আমার মত থাকতে ভালবাসি। হৈ হুল্লোর আমি কখনোই পছন্দ করি না। সময় পেলে দেশের বাহির থেকে ঘুরে আসি যেখানে কেউ আমাকে চিনে না। আর যেসব রটনা রটে। তার বিস্তারিত আমি সবার কাছে বলতে প্রস্তুতও নই। কিছু ব্যক্তিগত থাকুক না।

তাহসান রহমান খান
আমরা তো আসলে সবাই সুখে থাকার নেশায় থাকি। সেখানেই হয় ঝামেলাটা। সুখের কমতি পড়লে নতুন কিছু ভাবি। পুরনো সম্পর্কগুলো ভুলে যাই। আমাদের বিচ্ছেদগুলো আসলে সেভাবেই হয়।

আমার কাজগুলো নিয়ে সময়টা যাচ্ছে একরকম। ব্যস্ততার মাঝে আসলে অন্য কিছু ভাববার সময় নেই। ডিভোর্সের পর অনেকে অনেক রকম কথা বলে। আমাকে নিয়েও বলছে। এমনকি মীমকে জড়িয়ে কথা বলছে। এগুলো আসলে শোনা বা পাত্তা দেয়ার সময় নেই। যাদের কাজ নেই। আর একজনকে নিয়ে পড়ে থাকে। তাদেরই এসব কথা। এগুলো নিয়ে আসলে খুব বেশি কিছু বলার নেই।

আজমেরি হক বাঁধন
মানুষের জীবনে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। আমার জীবনে বিয়েটাও সে ধরনের একটা দুর্ঘটনা। বিয়ের পর আমি কাজ কমিয়ে সংসারে মনোযোগী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা সম্ভব ছিল না আমার জন্য। কারণ একটা সময় সত্যটা জানতে পারি আমি। সংসার চালাতে হত আমার।

কিন্তু তার ইচ্ছে ছিল আমি আয় করে তার হাতে দিব। তা থেকে সে টাকা উড়াবে। সেটা যখন মেনে নিলাম না তখনই ঝামেলা ও ঘর ছেড়ে আমার চলে আসতে হয়। এখন মেয়ে কে সময় দিয়ে মিডিয়াতেও নিয়মিত কাজ করছি। আমি নিজেকে সিঙ্গেল মনে করি না। আমার সঙ্গে তো আমার মেয়ে আছে।

ডিভোর্সের পর চাইলে নতুন করে কোন সম্পর্ক গড়তে পরতাম। কিন্তু কখনোই মনে হয়নি এমন। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ভাল আছি। আর যদি প্রশ্ন করা হয় এমন কিছুর সম্মুখীন হতে হয় কিনা সিঙ্গেল বলে। বলবো সব জায়গাতেই ভাল মন্দ আছে। মন্দদের দ্বারা যে আক্রান্ত হতে হয় না এমনটা নয়। সেটা ডিভোর্সের আগেও হতে হয়েছে।

সারিকা
আমাদের কেন বিচ্ছেদ হয়েছে সেটা তো সবারই জানা। সেচ্ছাচারিতা কোন মানুষ সহ্য করতে পারে না। আমিও পারিনি। এখন আমার সবকিছু মেয়েকে ঘিরে। কাজের সংখ্যা অনেক বাড়িয়েছি। কিন্তু মেয়েকে সবসময় সঙ্গেই রাখি। নতুন জীবন নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি। আসলে মেয়ের কথা চিন্তা করেই অভিনয়ে নিয়মিত হচ্ছি। ওর ভবিষ্যৎ আমিই গড়ব।

ডিভোর্স হওয়ার পর যেটা হয়। সিঙ্গেল হয়ে যাওয়ার পর অনেক মানুষের কুদৃষ্টি পরে। অনেকে আসে সাহায্যের নামে। অনেকে জ্ঞানী কথা শোনায়। ভাল ভাল কথা বলে কাছে আসতে চায়। সুযোগ খোঁজে। আরও কত কি!! মেসেঞ্জারের ইনবক্স ভরে থাকে। এগুলো নিয়ে আসলে কিছু বলার নেই। ফেসবুকে একটা ছবি দিলে কমেন্ট চেক করলে দেখতে পাবেন মানুষের রুচি।

অর্চিতা স্পর্শিয়া
আপাতত নতুন কিছু ভাবছি না। এখন শুধু কাজের প্রতি মনোযোগী হতে চাচ্ছি। এই যে খাগড়াছড়ি শুটিংয়ে আছি। কাজটাই এখন সব আমার কাছে। মনোযোগ দিয়ে সংসার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সকলের কপালে সব ভাগ্য থাকে না।

ডিভোর্সের পর লাইফলীড করা কঠিন হত যদি আমি একজন স্বামীর উপর নির্ভরশীল হতাম। সেটা আমি কখনোই ছিলাম না। তখনও নিজের আয় দিয়ে চলতাম। এখনও নিজের আয় দিয়েই চলছি। আর আশেপাশের মানুষের ইশারা ইঙ্গিত আমি বুঝেই চলি।

সুজানা
আমি আসলে ভুল মানুষের সঙ্গে সংসার শুরু করেছিলাম। ভুল জিনিস তো খুব বেশিদিন চলতে পারে না। আমারটাও চলেনি। ডিভোর্সের পর পরিবার নতুন করে ভাবছে। তারা আরও আগেই বলছে নতুন জীবন শুরু করার। আমিই চাচ্ছিলাম নিজেকে আরও সময় দিতে।

আমি বলবো না যে আমি আর বিয়ে করবো না। নতুন সংসার করবো না। কিন্তু সেটার জন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। কাজের ক্ষেত্রে গেলে অনেককে অনেক রকম হেনস্থা হতে হয়। সেটা সবার ক্ষেত্রে হয়। সেগুলো বুঝে শুনেই আমাদের চলতে হয়।

ad

পাঠকের মতামত