179941

এবার দুই যমজ শিশু কে হত্যা করলেন মা – ঘটনাটি শুনলে আপনার চোখে পানি চলে আসবে

একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আমরা ক্রমাগত অবাক হচ্ছি বটে,কারণ এই সব ঘটনা সভ্য সমাজে আশা করা যাই না,শিশু রাজন যখন কামরুলদের মতো নরপশুদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয় তখন যেমন আমরা মর্মাহত হয় ঠিক তার থেকে বেশী মর্মাহত হয় যখন শুনি কোন বাবা ছেলে সন্তান আশা করেছিলেন কিন্তু মেয়ে হবার কারণে হাত থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেছে। কোন মা স্টার জলসা না দেখতে পেয়ে স্বামীর উপর রাগ করে ছোট শিশুকে যদি বটির আঘাতে হত্যা করে তখন ধিক্কার জানানোর ভাষা আমরা হারিয়ে ফেলি।

অাবার যখন কানে আসে গোপালগঞ্জের গৃহবধূ পরকীয়ার টানে নিজের দুই সন্তানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন তখন সেই মায়ের উপর সম্ভবত পৃথিবীর সমস্ত মায়ের অভিশাপ নেমে আসে। রাজধানীর বনশ্রীতে নিজ মায়ের দ্বারা নির্মমভাবে দুই শিশু হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরো একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হলো।

তবে এবারের ঘটনাটি আমাদের রাজধানী ঢাকা শহরের নয়, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার রাফি আহমেদ স্টিটে,মৌমিতা সাধু সম্ভবত স্বামীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে নিজের যমজ দুই সন্তান কে হত্যা করেন,পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র অনুযায়ী কলকাতা টুডে জানাচ্ছেন,গত বুধবার বিকেলে স্বামী রাকেশের সাথে মৌমিতার ব্যাপক ঝগড়া হয়,জুয়েলারি ব্যাবসায়ী স্বামী বাড়ি থেকে বেরোনোর সাথে সাথেই মৌমিতা নিজেই সাড়ে তিন বছরের দুই শিশুকে হরলিক্সের সাথে বিষ মিশিয়ে খেতে দেন,পরে নিজেই বিষ খান।

দুই শিশুর কান্নাকাটি এবং গৃহবধূ মৌমিতার চাপা গোংরানির শব্দে পাশের ফ্লাটের প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান কিন্তু মৌমিতা কে বাচাঁনো গেলেও যমজ শিশু দুইজনকে বাচানো সম্ভব হয়নি. মিসেস মৌমিতা সাধু কে পুলিশ সেফ হোমে নিয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে,কিন্তু বারবার জ্ঞান হারানোর জন্য পুলিশ তদন্তে তেমন কোন অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি,কান্না জড়িত কন্ঠে মিসেস সাধু বারবারই একই কথা বলছেন আমি স্বামীর উপর ক্ষোভে এমন ভুল কিভাবে করলাম,আমার কলিজার টুকরো দুইজন শুধু বারবারই বলছিলো আম্মু ও আম্মু তুমি আমাদেরকে কি খাওয়ালে,আমার গলা জ্বলে যাচ্ছে যে,আমার খুব কষ্ট হচ্ছে,আম্মু আব্বুকে ফোন দাও না!

অন্যদিকে মৌমিতার স্বামী রাকেশ একপ্রকার নির্বাক কিছুতেই সে ঘটনা মেনে নিতে পারছে না সবকিছুই তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো তারা কিন্তু সামান্য ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে তার স্ত্রী যে এমন একটি কাজ করবে সেটা কিছুতেই রাকেশের বিশ্বাস হচ্ছে না. পুলিশ বলছে এই চাঞ্চল্যকর হত্যার পিছনে শুধুই কি দাম্পত্য কলহ নাকি অন্যকিছু আছে সেটা এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না,মুল ঘটনা জানতে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।

ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন কলকাতায় মেয়র সুধিরাম ভট্রাচার্জ এবং পুলিশ সুপার অনির্বান শীল

ad

পাঠকের মতামত