179159

বিয়ের পর নববধূ কে দিয়ে করানো হয় পতিতাবৃত্তি, তার শরীর বেঁচে দেওয়া হয় অন্য লোকের কাছে…

একদিকে ভারতে আধুনিকতার দিকে এগোচ্ছে আর অন্যদিকে ভারতের একটি এমন জায়গা আছে যার কথা শুনলেই মানুষ আশ্চর্য হয়ে পরে। যেখানে কথা নারীদের হয় সেখানে ব্যাপারটি খুবই নিন্দনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু আমাদের দেশেই এমন অনেক মহিলা আছেন যারা আমাদের দেশের বড় বড় স্থানের অধিকার লাভ করেছেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী আর লোকসভার অধ্যক্ষ পর্যন্ত স্থানে মহিলারা আমাদের দেশে বিরাজ করছেন।

কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের দেশে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে মহিলাদের অবস্থা শুনলেই আপনারা চমকে উঠবেন। এমন একটি সম্প্রদায় আছে আমাদের দেশে যেখানে মেয়েদের জন্মানোর পর লালন-পালন করে বেচে দেওয়া হয়।

শুধু তাই নয় বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ীর লোকজনও তাদেরকে অন্য জনের হাতে বেচে দেয়।

কোথায় আছে সেই গ্রাম ? কোথায় আছে এইরকম সম্প্রদায় ? আসুন তারই ব্যাপারে আজকে জানি।

কেউ আপনাকে যদি বেশ্যাবৃত্তিতে ঠেলে দেয় –

 

একবার ভেবে দেখুন বিয়ের পর যখন নববধূর মুখ দেখানো হয় তখন বাড়ির আত্মীয়-স্বজন নয় বরং তার মুখ দেখে যারা তাকে কিনতে এসেছে। কোথায় হয় এই রকম কাজ ? আসুন সেই ব্যাপারে আজকে জানি।

কোথায় আছে এমন সম্প্রদায় –

 

দিল্লির নজফগর এলাকায় এমন একটি সম্প্রদায় আছে যেখানে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজনই বেশ্যাবৃত্তিতে নিজের ঘরের বউকে ঠেলে দেয়। এই সম্প্রদায়ের নাম হলো “পরনা”। খবর অনুসারে প্রেমনগর বস্তিতে পরনা সম্প্রদায় বহু বছর ধরে রয়েছে। এই ধান্দা পরনা সম্প্রদায়ের মানুষজন বহু যুগ ধরে করে আসছে।

বহুকাল ধরে রয়েছে এই সম্প্রদায় –

 

এই সম্প্রদায়ের মেয়েদের ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায় এবং তারপরই তারা বেশ্যাবৃত্তিতে প্রবেশ করে। তারা সংসারের সমস্ত কাজ করে, বাচ্চাদের মানুষ করা স্বামীদের রান্না করে খাওয়ানো। তারপর তারা রাতে বেশ্যাবৃত্তি করতে বেরিয়ে পড়ে। শুধু এটা তো হলো প্রথমভাগ কিন্তু এই সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় ভাগের কথা শুনলে আপনি চমকে উঠবেন।

অত্যাচার হয় –

 

যে সমস্ত গৃহবধূরা এই বেশ্যাবৃত্তি করতে মানা করে তাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়। এমনকি কোন কোন সময়ে তাদেরকে প্রাণেও মেরে ফেলা হয়। এইজন্য গৃহবধূরা না চাইলেও এই কাজে প্রবেশ করে।

মা-বাবা ও করে এ সমস্ত কাজ –

 

সত্যিই আশ্চর্যজনক, মা-বাবাই নিজেদের মেয়েদের এই কাজের দিকে ঠেলে দেয়। মেয়েদের কোন পড়াশোনা শেখানো হয় না তাদের ছোট বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এটা সত্যি কিন্তু এর পরের কথাগুলো শুনলে আপনি আরো আশ্চর্য হবেন।

ছোটবেলায় এই সব শেখানো হয় –

 

জন্মের পরেই মেয়েরা একটু বড় হলে দালালদের কাছে এদেরকে দিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনিং দেয়ার জন্য। যার ফলে মা-বাবা দালালদের কাছ থেকে টাকা পায়।

মেয়েদের বেচে দেওয়া হয় –

 

এই সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ের নামে তাদেরকে বেচে দেওয়া হয়। ছেলে পক্ষ থেকে ভালো টাকা দিয়ে মেয়েদেরকে কেনা হয় এবং তার পরে শ্বশুরবাড়ীর লোক তাদেরকে এই নোংরা কাজে প্রবেশ করায়। আসুন জানি এরপরের ঘটনাগুলো।

বিয়ে নয় ব্যবসা –

 

এইটা কে বিয়ে বলেনা, বলে ব্যবসা। কারণ মেয়েরা কোনভাবেই এই নোংরা প্রথা থেকে মুক্তি পায় না। বিয়ের পরও তাদের শ্বশুরবাড়ি গিয়ে এই সমস্ত নোংরা কাজ করতে হয়। এমনকি তাদের শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাদের জন্য গ্রাহক খুঁজে নিয়ে আসে।

কিছু মহিলারা এর বিরোধ করেছেন –

 

অনেক মহিলারা নোংরা প্রথাকে মানতে নারাজ। তাই তারা এর বিরোধিতাও করেছেন। কিন্তু তার সাথে সাথেই তাদেরকে নিজেদের প্রাণের বলিও দিতে হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যজনক কথা হলো এই প্রথা কে নিয়ে অন্য লোকেরা কি বিরোধিতা করেনা ? আসুন সেই কথাই জানি।

মহিলারা পড়াশোনা করতে চায় –

 

এই নোংরা জায়গা থেকে মহিলারা বাঁচতে চায় তাই তারা পড়াশোনায় আগে এগোতে চায়। কিন্তু এই সমস্ত বিষয় যখনই প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে তখন এই গোষ্ঠী সেই প্রতিবাদকে কঠোর হাতে দমন করা দিয়েছে। কারণ এই গোষ্ঠীর জাল এতটাই দূর দূর পর্যন্ত বিস্তারিত যে কেউই সঠিকভাবে সেই জাল কাটার সাহস দেখাতে পারেনা।

কেউ লক্ষ্য করে দেখে না –

 

দেশের নেতারা বড় বড় কথা বলেন যে তারা দেশের অনেক ভালো চান এবং ভালো করছেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? যদি তাই হয় তাহলে নেতারা এই সমস্ত বিষয়ে কেন দেখছেননা। দেশ স্বাধীন হয়েছে অনেক বছর হয়ে গেছে, কিন্তু এই সমস্ত মহিলাদের ‌কথা শুনে মনে হয় আজও মহিলারা পরাধীনই হয়ে আছেন।

ad

পাঠকের মতামত