179179

‘রাতে একসঙ্গে ভাত খেলাম, সকালেই পেলাম বাবা-মেয়ের লাশ’

প্রতিদিনের মতো ছোট ভাই জামিল ও তার দুই সন্তানকে নিয়ে রাতের খাবার খান ইমরুল ইসলাম ইব্রাহিম। এরপর তিনি নিজের বাসায় চলে যান। সকালে ইমরুলের ঘুম ভাঙে ছোট ভাই জামিল ও তার মেয়ে নুসরাতের মৃত্যুর খবরে। এরপরই দ্রুত তিনি ছুঁটে যান জামিলের উত্তর বাড্ডার বাসায়।
.
সেখানে গিয়ে ইমরুলও বাকরুদ্ধ। শত শত মানুষ ঘিরে আছে বাড্ডার ৩০৬ নম্বর বাসাটি। বাসার ভেতরে প্রবেশ করেই দেখতে পান খাটের ওপর ছোট ভাই জামিল ও ভাতিজি নুসরাতের নিথর দেহ। এরপর কিছু সময়ের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনিও।
কী এমন অপরাধ করেছে জামিল? ছোট্ট নুসরাতেরই বা কি দোষ? কারা এমন নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করল- এমন প্রশ্ন ইমরুলের মাথায় এলেও যেন কোনো উত্তর জানা নেই।

প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ইমরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাত পৌনে নয়টার দিকে প্রতিদিনের মতো জামিল ও ভাতিজি নুসরাত ফোন করে। এরপর রাতের খাবার খাওয়ার জন্য দ্রুত বাসায় যাই। বাসায় গিয়ে দেখি খাবার রেডি করে আমার জন্য তারা বসে আছে। ফোনে নুসরাত বলেছিল, চাচ্চু আজ বাবা তোমার প্রিয় পাবদা মাছ রান্না করেছেন, তাড়াতাড়ি চলে এসো, একসঙ্গে খাব।’
তিনি বলেন, ‘তখন মেয়েটিকে বুঝ দিতে বলেছিলাম- মা, তুমি আগে খেয়ে নিও, আমি তোমার বাবার সঙ্গে খাব। আসতে দেরি হতে পারে। তার বায়না, না চাচ্চু, তাড়াতাড়ি এসো, একসঙ্গে খাব। তার কথা রাখতেই আগেভাগে বাসায় যাই। দেখি পাবদা মাছ ও করলা ভাজি টেবিলে নিয়ে বসে আছে তারা।’
‘এরপর আমরা দুই ভাই, নুসরাত ও তার ভাই মিলে রাতের খাবার শেষ করি। কিছুক্ষণ ওদের সময় দিয়ে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বের হয়ে যাই। সকালে খবর পেলাম আমার ভাই ও তার মেয়েকে কে বা কারা খুন করেছে। রাতে একসঙ্গে খাবার খেলাম, সকালেই পেলাম তাদের লাশ। এটা এখন কল্পনাও করতে পারছি না’, বলে চলেন ইমরুল।

তার প্রশ্ন, কী অন্যায় করেছিল তার ভাই? কেনই নির্মমভাবে হত্যা করা হলো ছোট্ট নুসরাতকে?
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার হোসেনবাগ মার্কেটের পাশে ময়নারমোড় এলাকার একটি বাসার ছাদ থেকে বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হলেন- জামিল (৩৮) ও তার মেয়ে নাম নুসরাত (৯)। দুর্বৃত্তরা নুসরাতকে শ্বাসরোধে এবং জামিলকে কুপিয়ে খুন করেছে।
সূত্র: পরিবর্তন ডটকম

ad

পাঠকের মতামত