179222

যেভাবে আপনার শান্তিপূর্ণ জীবন নষ্ট করছে ফেসবুক


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক চালু হবার পর থেকেই এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের যেনো শেষ নেই। কেউ মনে করেন জীবনের জন্য ফেসবুক অপরিহার্য কেউবা আবার এর উল্টো যুক্তি দেখান। তাদের মতে, ফেসবুক না থাকলেই জীবনটা অনেক বেশি উপভোগ্য হয়। সেক্ষেত্রে পরিবার ও নিজেকে সময় দেয়া যায় অনেক বেশি। সমাজে ঘটে যাওয়া অনেক অনাকাঙ্খিত ও বিতর্কিত বিষয় থেকে দুরে থাকায় মন থাকে প্রফুল্ল।

এ বিষয়ে এবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক। সেখানে তিনি তার ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করা সহ ফেসবুক নিয়ে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন।

আনিসুল হক লিখেছেন, ‘‘আমি এর আগে প্রায় আটমাস ফেসবুক বন্ধ রেখেছিলাম। তাতে অনেক সময় বাঁচে। বইপড়া, গানশোনা, লেখা, আঁকা, সামাজিকতা এসবের সময় পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারের ছবি তুলি না, মাথা নিচু করে থাকি না, বন্ধুর সঙ্গে গল্প করি। সুর্যাস্ত দেখি। হাঁটি, সাঁতার কাটি, খেলা দেখি, খেলা দেখতে দেখতে স্টাটাস দিই না, নোটিফিকেশন দেখি না। এসব তো আছেই। সবচেয়ে বড় কথা, সবাইকে বন্ধু মনে হয়। সবাইকে আপন মনে হয়। কোনো কুতর্ক কোনো আবিলতা কোনো অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক জগতে আছে বলে মনেই হয় না। মনটা খুব অনাবিল থাকে।

পাছে লোকে কিছু বলে এই আতঙ্ক থাকে না। নির্ভারভাবে কাজ করা যায়। আর ভারচুয়াল জগত থেকে বেরুলে মনেই হয় না আমি কিছু মিস করছি। ওই জগতটা আসলেই যে বাস্তবের দুনিয়ায় নাই, সেটা বোঝা যায়। বাস্তবের জগতে এলে মনে হয়, অবাস্তব ওই জগতটা কোথাও এক্সিস্ট করে না।

তখন কোনো ইস্যুতে আমরা জগতের শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদদের পরামর্শ খুঁজি। মানে মনীষীদের। মানে আমরা বইয়ের কাছে যাই। গুরুজনের কাছে যাই। বাস্তবের বন্ধু আর স্বজনের কাছে যাই।

যাই হোক, ফেসবুকের অনেক উপকারিতাও আছে। রক্ত জোগাড় করা যায়। সামাজিক রাষ্ট্রীয় অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যায়। সচেতনতা সৃষ্টি করা যায়। মানবিক কাজ করা যায়। আরো অনেক অনেক…

তবে নির্বিঘ্ন নির্বিবাদী শান্তিপূর্ণ জীবন পেতে চাইলে, আমার মনে হয়েছে, ফেসবুকে না থাকাই ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আপনার অভিজ্ঞতা ভিন্ন হতে পারে। তাকে আমি স্বাগত জানাই।

সবার মঙ্গল কামনা করি। আমি ফেসবুক ডিঅ্যাক্টিভেট করছি। পেজটা থাকবে। ভালো থাকবেন। ভালো থাকবেন। ভালো থেকো।’’

ad

পাঠকের মতামত