মাত্র একশো টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয় ওদের, অতঃপর….
বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া এখন বিধ্বস্ত একটি জনপদ। পার্শ্ববর্তী দেশগুলির শরণার্থী শিবিরেও প্রতিদিন বাড়ছে সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা। থেকে উদ্বাস্তু হওয়া এমনই সব মহিলাদের খোঁজ মিলেছে, যারা সন্তানের জন্য নিজেরাই দেহ-ব্যবসায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
খবর জি নিউজের বরাতে জানা যায়, “ওরা সিরিয়া থেকে লেবাননে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের দল। বয়স ৬ থেকে ১৫-এর মধ্যে। জীবনটা ওদের কাছে অভিশাপ। জীবন বাঁচাতে ওরা কেউ কাজ করত গ্যারেজে, কেউ আবার ময়লা পরিষ্কার করত, কেউ কাজ করতে ক্ষেতে খামারে।
তবে ওসব কাজে শুধু দু বেলা দু মুঠো খাওয়ার সাথে চলত নির্যাতন। শেষ অবধি ওদের বানিয়ে দেওয়া হল যৌন ক্রীতাদাসী। ”
জানা যায়, যৌনদাসী হিসেবে মাত্র একশো টাকায় ওদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। তারপর কয়েক ঘণ্টার ফূর্তি চলে ওদের নিয়ে। ওদের শরীরটা ব্যবহার হলেই ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। তখন আবার নতুন কারও কাছে আরও কমে দামে তাদের বিক্রি করা হয়।
সেই খবরে বলা হয়েছে সিরিয়া থেকে লেবাননে পালিয়ে এসেছিল ১২ বছরের এক বালিকার কথা। তার নাম হুরিয়া। হুরিয়াকে ধর্ষণ করে স্থানীয় এক যুবক। তারপর তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। হুরিয়াকে উদ্ধার করে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এদিকে এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ১৩০ মিলিয়ন বা ১৩ কোটির এরও বেশি মেয়ে এখনও স্কুলে যেতে পারছে না। অর্থাৎ সম্ভাবনাময় ১৩০ মিলিয়ন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উদ্যোক্তা, শিক্ষক আর রাজনীতিবিদ যাদের নেতৃত্ব থেকে বিশ্ব বঞ্চিত হচ্ছে।