178981

৩০ হাজার ফুট উপরে কী ঘটল বিমানে, অথচ সবাই অক্ষত?

যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনা এটি। খেলোয়াড় বহন করা একটি চার্টার্ড বিমান ২৮ অক্টোবর শনিবার রাতে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিশ থেকে ইলিনয়ে’র এর শিকাগো শহরে যাচ্ছিল। রাতের যাত্রায় বিমান চালক রাডারের ওপর নির্ভর করছিলেন। পাইলট রাডারে দেখছিলেন সামনের পথ পরিস্কার। কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।
কিছুক্ষণ পরই সব কিছু আর স্বাভাবিক থাকল না! রাডারে ধরা না পড়লেও বিমানের সামনের কাঁচে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে কোনো আলোর রেখা চলে যেতে দেখলেন পাইলট। আলোর রেখা বলা ঠিক হবে না, যেন বিদ্যুতের ঝলক!

ওকলাহোমা শহরের উপর বিমান তখন মাটি থেকে ৩০ হাজার ফুট উপরে। বিষয়টি নিয়ে চালক যখন উদ্বিগ্ন তখন এর মাত্রা বাড়িয়ে কীসে যেন ধাক্কা দিল বিমানকে?

চালকের অবশ্য ধারণাই ছিল না সেই ধাক্কা কতটা জোরালো ছিল। তা ছাড়া দিগন্তহীন খোলা আকাশে শক্ত বস্তু কোথায়, যে সংঘর্ষ হবে? বড় ধরনের ঝাঁকি খেলেও বিমানের সবাই ছিল অক্ষত। পরে ১০১-৬৯ ফ্লাইটটিও নির্বিঘ্নেই গন্তব্যে পৌঁছায়।

কিন্তু গন্তব্যে এসে মাটিতে নামার পর সবার চোখ তো কপালে! বিমানের সামনের অংশটি একেবারে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। ঠিক যেন কোনো পাগলা ষাঁড় দারুণ ক্রোধে বিমানটিকে গুঁতো মেরেছে।

বিমানটি ভাড়া নিয়েছিলেন মার্কিন বাস্কেটবল দল ‘থান্ডার’। সেই দলের খেলোয়াড় রাসেল ওয়েস্টব্রোক পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, যাত্রার সময় বিষয়টি তাদের কাছে খুব একটা আশ্চর্যের মনে হয়নি। কিন্তু মাটিতে নেমে ধারণাই পাল্টে যায়।
বিমানে থাকা কেউ কেউ সেই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোষ্ট করেন। আর সেসব ছবি প্রকাশ পেতেই বিষয়টি নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়। কেউ কেউ মন্তব্য করেন, আকাশে বিমানটি যদি পাখির সঙ্গে ধাক্কা খায় তবে পালক কোথায়?

থান্ডার দলের অনেকেই অবশ্য বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন না। কেউ কেউ বলছেন তারা ইউএফও’র সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিলেন। আর বিমানটির চালক ভিনগ্রহের অজানা যান দেখার দুর্লভ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

দলের অন্যতম স্টিভেন এডামস তো বিষয়টি নিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র প্রতিই টুইটারে প্রশ্নই ছুঁড়েছেন। একইসঙ্গে নেইল টাইসন ও বিল নি’র মতো ইউএফও গবেষকদের কাছে এই অদ্ভূত ঘটনার জবাব চেয়েছেন!

ad

পাঠকের মতামত