178670

প্রবাসীরা সৌদি মেয়েদের বিয়ে করলে তাদের সন্তানের নাগরিকত্ব নিয়ে নয়া আইন

সৌদি আরবের বেসরকারি খাতে কর্মরত শ্রমিকদের দেয়া দুই বছরের ভিসার বৈধতা এক বছর কমিয়ে দিয়েছে দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। তবে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গৃহকর্মীরা সেই আইনের আওতায় পড়বে না।

এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছেন শ্রম ও সামাজিক উন্নয়নমন্ত্রী ডা. আলি আল-ঘাফিস। সৌদি আরবের শ্রম আইনের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মন্ত্রী ডা. আলি আল-ঘাফিসের নির্দেশে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে সৌদি আরবের শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।
গত রোববার শ্রমমন্ত্রী আরেকটি নির্দেশ জারি করেন। সৌদিতে বসবাসরত বিদেশি মা এবং সৌদি আরবের নারীর বিদেশি সন্তান বেসরকারি খাতে কর্মরত থাকলেও এ আইনের আওতায় আসবে।

সৌদি আরবের নাগরিক এবং বিশেষজ্ঞরা এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ আল ওয়াইন এই সিদ্ধান্তকে সঠিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

আবদুল আজিজ আল-নিগামশি জানান, সৌদি নারীর বিদেশি সন্তানকে সৌদি আরবের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তবে অনেকের দাবি, সৌদি নারীর বিদেশি সন্তানকে সেখানকার নাগরিকত্ব দেয়া ঠিক হবে না।
নওয়াল আল-শিহরির মতে, চাকরি বাঁচাতে অনেকেই সৌদি আরবের নারীদের বিয়ে করেন। সে কারণে ওই পুরুষ এবং তাদের সন্তানদের সৌদি আরবের নাগরিকত্ব দেয়ার বিপক্ষে তিনি।

তবে এর বিপরীত মন্তব্য করেছেন অনেকেই। সৌদি নারীকে বিয়ে করা কোনো বিদেশি পুরুষের ওরসজাত সন্তানকে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়ার পক্ষে তিনি।

সৌদি নারীর বিদেশি সন্তান মাহার অভিযোগ, ‘সৌদি পুরুষের বিদেশি সন্তানকে নাগরিকত্ব দেয়া হলে, কেন সৌদি নারীর বিদেশি সন্তানকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে না?’

সূত্র : সৌদি গেজেট

ad

পাঠকের মতামত