178404

ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর সন্তান প্রসব, ডিএনএ টেস্টে মিলল ধর্ষক

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার অলিয়ারচালা এলাকায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। এতে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে কন্যাসন্তান প্রসব করে।

অবশেষে ওই স্কুলছাত্রীর ধর্ষকের পরিচয় ডিএনএ টেস্টে পাওয়া গেছে। ধর্ষক নূর মোহাম্মদ আলী (৫০) গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার অলিয়ারচালা এলাকার মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে।

ডিএনএ টেস্টের ফলাফল জানাজানি হওয়ার পর নূর মোহাম্মদ এলাকা ছেড়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে স্কুলছাত্রীর পরিবার।

স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার অলিয়ারচালা, বড়ইবাড়ি এলাকার একটি স্কুলে নিয়মিত নূর মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াত করত ওই ছাত্রী।

এ সুযোগে নূর মোহাম্মদ বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হলে ক্ষিপ্ত হন তিনি। হঠাৎ একদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রীটিকে জোর করে ঘরে নিয়ে যায় নূর মোহাম্মদ।

বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ছাত্রীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক পর্যায়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন নূর মোহাম্মদ।

তবে প্রাণভয়ে সে সময়ে ধর্ষণের এ ঘটনা সে কাউকে জানায়নি। পরে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের সন্দেহ হয়।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাকে উপজেলার সফিপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করায়। ওই পরীক্ষায় ধরা পড়ে ছাত্রীটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

তখন তার কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে তার মামা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (মামলা নং-৮৬(২)/১৭) দায়ের করেন।

ওইদিন দুপুরেই নূর মোহাম্মদকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলেও ওই ছাত্রীর গর্ভের সন্তান তার নয়, বলে দাবি করেন।

পরে পুলিশ ধর্ষককে জেলহাজতে পাঠায়। কিছুদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

তিন মাস পর ছাত্রীটি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে শিশুটির পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সে পরীক্ষায় শিশুটির পিতা নূর মোহাম্মদ বলে নিশ্চিত করা হয়।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নূর মোহাম্মদ গা ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার।

 

এ বিষয়ে নূর মোহাম্মাদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। শেষ বয়সে বিদেশ গিয়ে কি করব? শিশুটি আমার কিনা তা নিশ্চিত নই। ডিএনএ টেস্ট সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।’

কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আজিম হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে জানান, নূর মোহাম্মাদ আলীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। শুনেছি পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

ad

পাঠকের মতামত