178298

মামলা না তোলায় শিক্ষককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

ছিনতাই মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় যশোরের চৌগাছায় মশিয়ার রহমান নামে এক স্কুল শিক্ষককে সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে গাছে বেঁধে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার গয়ড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের চায়ের দোকানের পাশে মেহগনি বাগানে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে তার স্ত্রী রুমা আক্তার ও বৃদ্ধা মা মোমেনা বেগম ঘটনাস্থলে এলে তাদেরকে মারপিট করে। বর্তমানে তারা সবাই চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আহত শিক্ষক মশিয়ার রহমান উপজেলার ছোট কাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গয়ড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের ছেলে।

মশিয়ার রহমান জানান, গেলো ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তার ভাতিজা হৃদয়কে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হকের নেতৃত্বে ইন্তাজ আলী, শুকুর আলী, মুন্তাজ আলীসহ ৬/৭ জন পূর্ব শত্রুতার জেরে তিলকপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাকে মারপিট করে এক লক্ষ টাকা ছিনতাই করেন। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে চৌগাছা হাসপাতাল এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় মশিয়ারের ভাই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। এর পর থেকেই মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা হুমকি দিয়ে আসছিল।

বৃহস্পতিবার সকালে মশিয়ার ১০ হাজার ৬১৫ টাকা নিয়ে একটি ছাগল কিনতে যাচ্ছিলেন। তিনি গ্রামের রেজাউলের চায়ের দোকানের কাছে পৌঁছলে সাবেক মেম্বার আতাউল হকের নেতৃত্বে মুন্তাজ আলী, শুকুর আলী, মজনু, রোস্তম, শামীম ও শামনুর তার পথরোধ করে মামলা তুলে নিতে বলে। রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন শুরু করেন। খবর পেয়ে তার স্ত্রী ও মা এগিয়ে আসলে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হককের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

স্বরুপদহ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি এখনও ভালোভাবে জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।
এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ওসি খন্দকার শামীম বলেন, আমি যশোরে আছি। চৌগাছায় গিয়েই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

ad

পাঠকের মতামত