গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
প্রেম কোনো বাধা মানে না। ধর্ম-বর্ণ, জাত-কূল কোনো বাধাই না। এমনই ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দুর্গানগর ইউনিয়নের বামন গ্রামে।
উল্লাপাড়া উপজেলার দুর্গানগর ইউনিয়নের বামন গ্রামের কালিপদ শীলের ছেলে নিতাই শীলের (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বৃষ্টি খাতুনের (২২)। বৃষ্টি খাতুন এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আর গর্ভের সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে অবস্থান করছেন প্রেমিক নিতাইয়ের বাড়িতে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টি খাতুন রাজশাহী বাঘা থানার জয়তুর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক সাইফুলের মেয়ে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর জীবিকার তাগিতে ঢাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি নেন। আর উল্লাপাড়ার নিতাই শীল ঢাকার একটি সেলুনে কাজ করতেন। কর্মস্থলে যাওয়া আসার পথে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিতাই চন্দ্র শীল তার নিজ ধর্ম ও নাম-পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বৃষ্টি খাতুনকে।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বৃষ্টি খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে নিতাই। এক পর্যায়ে বৃষ্টি খাতুন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। নিজের গর্ভের সন্তানকে পিতার পরিচয় দিতে নিতাইকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন বৃষ্টি। কিন্তু নিতাই বিয়ে না করে ভয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসে।
বৃষ্টি নিরুপায় হয়ে সন্তানের স্বীকৃতি নিতে নিতাইকে খুঁজতে খুঁজতে বুধবার তার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায় এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রধানদের কাছে বিষয়টি জানায়। প্রধানরা বিষয়টি জানার পর নিতাইয়ের বাড়িতে গেলে নিতাই চন্দ্র পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃষ্টির মা পলি খাতুন মুঠোফানে জানান, আমি জানি বৃষ্টি প্রেম করে বিয়ে করেছে। সে সুখে আছে। কিন্তু জানতাম না যে তার সঙ্গে প্রতরণা করা হয়েছে এবং সে গর্ভবতী হয়েছে।
নিতাই চন্দ্রের বাড়ির লোকজন জানান, বৃষ্টি খাতুনকে বাড়িতে তুলেছি এবং মেয়েকে হিন্দু করে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে পড়ানো হবে।
এ বিষয়ে দুর্গানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) আফসার উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। পরিবার থেকে আমাকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।