ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, ছাত্রলীগ নেতাসহ রিমান্ডে ৩ জন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ও ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন রানাসহ তিনজনকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) তাদের ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আক্তারা মাহমুদা বেগম প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেয়া অপর দুই জন হলেন-ফলিত রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জনৈক ইশরাক হোসেন রাফি। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম জানান, মোট ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ১২ জনকে সাজা দিয়েছে। বাকি তিন মাস্টারমাইন্ডকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসসহ আটক করে সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তারাই মূলত জালিয়াতিতে সহায়তা করতেন। আটক ১৫ জনের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ঢাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মহিউদ্দিন রানা এবং ফলিত রসায়ন আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে রানা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক।
বাকি ১২ জন হলেন- নুর মো. মাহবুব, ফরহাদুল আলম রানা, ইশরাক হোসেন রাফি, আব্দুল্লাহ আল মুকিম, রিশাদ কবির, আসাদুজ্জামান মিনারুল, ইশতিয়াক আহমেদ, জয় কুমার সাহা, রেজওয়ানা শেখ শোভা, মাশুকা নাসরীন, তারিকুল ইসলাম ও নাছিরুল হক নাহিদ।