তাবলীগ জামাতের যে গায়েবী মাছের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় দেখুন
তাবলীগ জামাতের যে গায়েবী মাছের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় দ্বীন প্রচারে হিজরত করে পুরান ঢাকার ২৪ জনের তাবলীগ জামাতের একটি দল এসেছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজার ছড়া জামে মসজিদে।
তাবলীগ জামাতের উসুল অনুযায়ী দ্বীন প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। বঙ্গোপ সাগরের তীরবর্তী জেলেদের আসা যাওয়া দেখে কয়েকজন তাবলীগ জামাতের সাথীর মনে ইচ্ছে জাগে সাগরের বড় মাছ খাবে।
ইচ্ছানুযায়ী বড় মাছ জালে ধরা পড়লে তাবলীগ জামাতের লোকদের কাছে বিক্রি করার অনুরোধ জানান জেলেদেরকে। এভাবে চলে যায় কয়েক দিন। রাজারছড়া বাজার মসজিদে ৩ দিনের সময় শেষ হয়ে গেলে জামাত চলে যায় পাশর্^বর্তী সৈকত পাড়ের জামে মসজিদে। তাবলীগ জামাতের সাথীরা মসজিদ ও বঙ্গোপ সাগর অতি সন্নিকটে দেখে তাদের বড় মাছ খাওয়ার ইচ্ছা আরো প্রবল হয়।
জেলেরা প্রতিনিয়ত মসজিদের পাশ দিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া আসা করে থাকে। গেল ২৪ জানুয়ারী রাতে তাবলীগ জামাতের সাথীদের মধ্যে সাগরের বড় মাছ ভক্ষণের ইচ্ছা নিয়ে মসজিদে আলাপ-সালাপ হয়।
ফজরের নামাজ শেষে জামাতের লোকজন নিয়মনুযায়ী ২ গ্রুপে ভাগ করে গাস্তে পাঠায়। পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ২৪ জনের তাবলীগ জামাতের জিম্মাদার- আমির মোহাম্মদ আনয়ারুল ইসলাম বলেন অন্য একটি গ্রুপকে সাগর পাড়ে বড় মাছ ক্রয় করার জন্য পাঠায়। জিম্মাদার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন সাগর পাড়ে একটি কাছিম ভেসে এসে চরে আটকে পড়ার দৃশ্য দেখ ছিল এমন সময় একটি বড় ঢেউর সাথে কাল কি একটা ভেসে আসছিল।
তারা প্রথমে কুমির মনে করে ভয় পায়। এমন সময় ঢেউয়ের পানি নিচে নেমে গেলেও চরে চটপট করছে একটি বড় মাছ।
তারা দ্রুত গিয়ে মাছটি ধরে ফেলে। খুশীতে আত্মহারা হয়ে মাছ টি মসজিদে নিয়ে এসে দেখে ১৮ কেজি ওজনের একটি সাগরের বড় কোরাল মাছ। জিম্মাদার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম প্রথমে কথাটি স্বিকার করতে চাইনি।
অনেক অনরোধের পরে এ প্রতিবেদককে বলেন আল্লাহর শুকরিয়া কি করে আদায় করব। কয়েকদিন ধরে জেগে থাকা সাগরের বড় মাছের ইচ্ছা আল্লাহ গায়েব থেকে পুরণ করেছে। আমরা গোনাহগার বান্দাকে আল্লাহ কি যেন দেখাল তার শুকরিয়া কি করে আদায় করি।