177635

‘কিছু একটা হবে। পরে বুঝবি, আমি কেডা; হত্যাকারীর স্ট্যাটাস


নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় কলেজছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে হত্যার জন্য পূর্বপরিকল্পনা করেছিল ইমন। আর এ উদ্দেশ্যকে সফল করতেই ঢাকা থেকে নতুন একটি চাপাতি ক্রয় করে সে।

তারপর ইমন তার ফেসবুক আইডিতে এ ঘটনার আভাস দিয়ে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

ইমন ঘটনার তিন দিন আগে গত ১৩ অক্টোবর সর্বশেষ তার ব্যবহৃত ‘অন্ধ কার জীবন’ নামের ফেসবুক আইডিতে দেয়া স্ট্যাটাসে লিখেছিল- ‘কিছু একটা হবে। পরে বুঝবি, আমি কেডা’।

 

পূর্ব পরিকল্পনা মতে ইমন ওই ছাত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটনার দুদিন আগে থেকেই কেন্দুয়া পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকায় তার ভগ্নিপতি সোহাগের বাসায় অবস্থান নেয়। ওই এলাকাতেই কাঠ ব্যবসায়ী হাবুল বেপারীর বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পারভীন সিরাজ মহিলা কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষে অধ্যয়ন করে আসছিল জান্নাতুল ফেরদৌস।

ঘটনার দিন গত ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকালের দিকে ইমন কৌশলে জান্নাতুলকে তার ভগ্নিপতির বাসার কাছাকাছি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতারী কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে পালিয়ে যায় ইমন।

স্থানীয় লোকজন কলেজছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সে বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ রেল স্টেশন এলাকা থেকে ইমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার আদালত থেকে ৩ দিনের রিমান্ড এনে ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় আহত কলেজছাত্রীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ বাদী হয়ে ইমনকে আসামি করে কেন্দুয়া থানায় বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার এসআই সঞ্জয় সরকার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ইমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। কয়েকদিন আগেই সে কলেজছাত্রী জান্নাতুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে নতুন যে চাপাতিটি উদ্ধার করা হয়েছে সেটি ইমন এ উদ্দেশ্যেই ক্রয় করে।

কেন্দুয়া থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ইমনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রেমের সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করায় সে একাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং চাপাতিটি ঢাকা থেকে ক্রয় করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত