177455

প্রেমের টানে আপন ফুফুকে নিয়ে ভাতিজা উধাও !

প্রেম মানে না জাতকুল, মানে না কোন বাধা। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সিরাগঞ্জের উল্লপাড়ায়। আপন ফুফুকে নিয়ে উধাও হয়েছে মাহমুদুল তালুকদার (২৫) নামে তার এক ভাতিজা। মেয়েটি ওই যুবকের আপন ফুফু বলে জানা যায়। গত ২০ দিন ধরে তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এঘটনায় মেয়ের বড় ভাই মানছুর রহমান বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- মাহমুদুল তালুকদার (২৫), তার বাবা শহিদুল তালুকদার (৫০), মামা মোহাম্মাদ আলী (৩৫) নানা আশরাফ আলী তালুকদার (৬৫)।

উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের খাষচর জামালপুর গ্রামে এ আলোচিত ঘটনা ঘটে। উধাও হয়ে যাওয়া মাহমুদুল তালুকদার মেয়েটির বড় ভাই শহিদুল তালুকদারের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, প্রেমের টানে তারা এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। ইতিমধ্যে তারা দু’জন কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। সম্ভান্ত পরিবাবের ছেলে-মেয়ের এমন কাজ মেনে নিতে পারছেন না তাদের পরিবারসহ অনেকই। তারা বলছে সামাজিকতা বলে একটা কথা আছে। তাই বলে রক্তের সম্পর্কিত ফুফুকে নিয়ে পলায়ন অতঃপর বিয়ে করা এসব সত্যিই মানা যায় না।

উল্লাপাড়া মডেল থানার এসআই শাহিন হোসেন বুধবার এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় চলতি মাসের ১৩ অক্টোবর মেয়ের বড় ভাই মানছুর রহমান বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে মাহমুদুলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মেয়ের পরিবারের বরাতে শাহিন আরো জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাহমুদুল তালুকদার মেয়েকে তার বাড়িতে থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এসময় মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে ছেলের বাবা, মামা ও নানা। এরপর থেকে এই যুগলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়েটি ছেলের সম্পর্কে ফুফু হয়। তাদের মধ্যে কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিলো না। এমনকি তাদের বিয়েও হয়নি। পরিবারের দাবি মাহমুদুল তাদের মেয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করছে এবং লুকিয়ে রেখেছে।

এব্যাপারে মাহমুদুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কল কেটে দেন। এরপর থেকে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত