যেভাবে পালিয়ে এলেন ৬ মাসের অন্তঃসত্বা!
টানা সাতদিন পায়ে হেঁটে বাঁশের লাঠি ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাংলাদেশে আসলেন ছয় মাসের অন্তঃসত্বা এক রোহিঙ্গা নারী। হাঁটতে হাঁটতে পা ফুলে ঢোল হয়ে গেছে তার। বলছিলেন আর পারছেন না এভাবে। তার সাথে যখন বিবিসর সাংবাদিকদের কথা হয় তখন পর্যন্ত পুরো চব্বিশ ঘন্টা তার পেটে দানাপানি পড়েনি। আরো আটটি সন্তান রয়েছেন তার সঙ্গে। আর রয়েছেন স্বামী।
মহিলার নাম হাসিনা বেগম। তিনি বলছিলেন, ‘কাজ করতে পারিনা, কিছু করতে পারিনা, তাই ঘরবাড়ি ফেলে রেখে আসছি”। মিয়ানমারের সেনবাহিনী কি কোন নির্যাতন করেছে তাকে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বা স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাদের কোন কাজ দিচ্ছে না আর। তার স্বামী একজন রাজমিস্ত্রী। সেনাবাহিনী কিংবা বৌদ্ধদের বাড়িঘর ও প্রতিষ্ঠানেই একমাত্র তার কাজ করার সুযোগ ছিল।
কিন্তু দু’মাস ধরে কোন কাজ পাননি তার স্বামী। তারা খাদ্যসঙ্কটে পড়ে গিয়েছিলেন। তাদের দশজনের সংসার এবং অনাগত একজন রয়েছে পেটে, কিন্তু রোজগার নেই। ‘খাদ্য যখন নেই, আমরা সেখানে কি করে থাকব? তাই নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি’ বলছিলেন তিনি। পালংখালির আনজুমপাড়া সীমান্তে হাসিনা বেগমের মতো আটকে আছেন আরও বহু শরণার্থী।
পালংখালির আনজুমপাড়া সীমান্তে তার মতো আটকে আছেন আরও বহু শরণার্থী। হাসিনার মতো হাজার হাজার মানুষ গত সোমবার থেকে অপেক্ষা করছে পালংখালির আনজুমপাড়া সীমান্তের বাংলাদেশ অংশের শূন্য রেখা বরাবর। তাদের সেখান থেকে আর এগোতে দিচ্ছে না বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি। বলা হচ্ছে যাচাই-বাছাই হবে তাদের এবং তারপর রোহিঙ্গা শিবিরগুলো থেকে সেনাবাহিনীর নির্দেশনা এলেই তাদের এগোতে দেয়া হবে। তারা খোলা আকাশের নিচে ধানক্ষেতের আলের উপর রয়েছেন। বিবিসি