‘ভিনগ্রহীরা আমাকে অপহরণ করেছিল’
বেটিনা রডরিগেজ অ্যাগুইলেরা। তখন তার বয়স মাত্র সাত। এই বয়সে ভিনগ্রহী তিন মহিলা ও এক পুরুষ তাকে অপহরণ করেছিল।
‘মিয়ামি হেরাল্ডকে’ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ গল্প শোনান ফ্লোরিডার ডোরালের সাবেক এই কাউন্সিল সদস্য বেটিনা। রিপাবলিকান দলের প্রার্থী রস-লেটিনেন রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার কারণে ডেমোক্র্যাট দলের বেটিনার এবার মার্কিন কংগ্রেসে যোগ দেয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তার ভাষ্য, দুষ্টুমি করার জন্য বকাবকি করে একদিন তার বাবা-মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছিলেন বেটিনা। একদিন একা একা রাস্তায় হাঁটাহাঁটির সময় হঠাৎ ঝুপ করে গোল একটা মহাকাশযান নেমে আসে তার সামনে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন দুই ভিনগ্রহী মহিলা ও এক পুরুষ।
তারপর বেটিনাকে মহাকাশযানে তুলে তাকে নিয়ে চলে যায় ভিনগ্রহীরা।
বেটিনার বর্ণনায়, মহাকাশযানটি ভেতরের আসনগুলো ছিল গোলাকার। মহাকাশযানে চেপে বেটিনাকে নিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি করেছিল ভিনগ্রহীরা।
বেটিনার ভাষ্যমতে, মহাকাশযানে করে আসা ওই ভিনগ্রহীরা সবাই উচ্চতায় অনেক লম্বা, স্বাস্থ্যবান ও ব্লন্ড। তাদের পরনে ছিল বিশেষ এক ধরনের জ্যাকেট। তারা টেলিপ্যাথির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল।
সাক্ষাৎকারে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে তার বার বার দেখা হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন বেটিনা। তিনি বলেন, প্রথমবার তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরিয়েছিল ভিনগ্রহীরা। তারপর আরও বেশ কয়েকবার বেটিনার কাছে এসেছে ভিনগ্রহীরা।
বেটিনা জানান, ভিনগ্রহীরা তাকে ঈশ্বরের কথা বলেছিল। তারা বলেছিল, ঈশ্বর কোনো ব্যক্তি নন। তিনি আদতে ব্রহ্মাণ্ডের বিপুল শক্তি। আদি ও অনন্ত। সবার মধ্যেই তিনি রয়েছেন। ঈশ্বর মানুষের সঙ্গে মিশতে চান। তাদের সঙ্গে নানাভাবে দেখতে চান। তবে সেই ঈশ্বরের কোনো আলাদা ধর্ম নেই। তার ধর্ম একটাই।
বেটিনা যখন আরেকটু বড় হয়েছেন, সেই সময় ভিনগ্রহীরা আবার তার কাছে এসেছিল বলে তার ভাষ্য। তিনি বলেন, ওরা আমাকে যিশুর কথা বলেছিল। ভিনগ্রহীরাই আমাকে জানিয়েছিল, ভূমধ্যসাগরের মাল্টায় মাটির নিচে এমন অন্তত ৩০ হাজার খুলি পোঁতা রয়েছে, যেগুলো মানুষের নয়। এমন বেশ কিছু খুলি পোঁতা রয়েছে দক্ষিণ ফ্লোরিডার কোরাল ক্যাসলের তলায়ও।
বেটিনা আরও জানান, ভিনগ্রহীরা তাকে ‘আইসিস’-এর কথাও বলেছিল। তবে সেটা কোন ‘আইসিস’ এর কথা- তা খোলাসা করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, মিশরের এক দেবীরও নাম ‘আইসিস’।