177209

টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুন বড় বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ নামতে যাচ্ছে সমুদ্রে, দেখুন (ভিডিও)

টাইটাইটানিক ছবির বদৌলতে টাইটানিকের নাম জানে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া দায়। এক সময় ছিলো যখন টাইটানিক ছিল একমাত্র পৃথিবীর বড় জাহাজ। কিন্তু সেই দিন শেষ। এখন টাইটানিকের চেয়ে বড় জাহাজের অভাব নেই। কিন্তু তাই বলে টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুন বড় জাহাজ? কল্পনা করাও কষ্টকর।

দীর্ঘ একটা সময় ধরে সবচেয়ে বড় জাহাজের তকমাটা ছিলো টাইটানিকের কাধে। এবার আর তা থাকছে না। কারন তারথেকে ঢের বড় জাহার নামতে যাচ্ছে সমুদ্রে।

প্রযুক্তি যত অগ্রগতি হচ্ছে মানুষ তত আধুনিক আর বড় বড় জাহাজ তৈরি করে চলেছে। এক সময় যাা ছিলো মানুষের কাছে কল্পনা আজ তাই বাস্তব। কিছু দিন আগেও টাইটানিক ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ। কিন্তু এখন তার চেয়ে বড় জাহাজের কোন অভাব নেই। কিন্তু এবার টাইটানিকের চেয়ে ২০ গুন বড় জাহাজ নামতে যাচ্ছে পানিতে। দেখুন এর ভিতরের সুবিধাদি

ভিডিওটি পোষ্টের একদম নিচে দেয়া আছে। দেখতে হলে স্ক্রল করে পোষ্টের নিচে চলে যান।

বলা যায়, ভাসমান মহানগরী হারমনি অব দ্য সিস। বিশ্বে এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বড় ও ভারী জাহাজ এটি। ১৭ মে (মঙ্গলবার) ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন বন্দর থেকে চোখ ধাঁধানো হারমনি অব দ্য সিস-এর উদ্বোধন করা হয়। হারমনি অব দ্য সিস যেনো সমুদ্রের মধ্যে আরেক পৃথিবী। ভূমধ্যসাগর বা ক্যারিবিয়ানে ছুটিছ‍াটায় সর্বোচ্চ বিনোদন দিতে জাহাজটি অ‍ায়োজনের কোনো কমতি রাখেনি। এক হাজার একশো ৮৭ ফুট লম্বা ও দুইশো ৩০ ফুট উচ্চতার জাহাজটি ছয় হাজার সাতশো ৮০ জন যাত্রী বহন করতে পারবে।

জাহাজটির নির্মাণকাজ শুরু হয় এখন থেকে ৩২ মাস আগে ২০১৩ সালে। নির্মাণে কাজ করেছেন মোট দুই হাজার পাঁচশো শ্রমিক। রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল নৌবহরের ২৫তম জাহাজ হারমনি অব দ্য সিস নির্মাণখাতে ব্যয় হয়েছে সাতশো মিলিয়ন পাউন্ড।

এর বিশেষত্বের দিক থেকে প্রথমে বলতে হবে যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পর্কে। বিশ্বের সর্বাধিক যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ভ্রমণ জাহাজ এটি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জেট এয়ারবাস A380 -তে সিটের সংখ্যা পাঁচশো ২৫টি। তুলনা দিতে গেলে বলা যায়, হারমনি অব দ্য সিস তার চেয়েও দশগুণ বেশি যাত্রী বহন করতে পারবে। দ্রুততার দিক থেকে জাহাজটি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ছোটে।

এতে রয়েছে মোট ১৮টি ডেক। এর মধ্যে ১৬টি ডেকে রয়েছে দুই হাজার সাতশো ৪৭টি কেবিন। যা কিনা বর্তমানে যেকোনো জাহাজের চেয়ে অনেক বেশি। এটি এত বড় যে যাত্রীরা যাতে হারিয়ে না যান সেজন্য তাদের জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ব্যবহার করতে হবে।

দু’টি তলা নিয়ে বিস্তৃত জাহাজের সিগনেচার রুমটি রয়েল লফট স্যুট বলে পরিচিত। রয়েল লফট স্যুটের প্রথম তলায় রয়েছে এক হাজার ছয়শো স্কয়ার ফুটের একটি লিভিং স্পেস। অন্যদিকে আটশো ৭৪ স্কয়ার ফুটের দ্বিতীয় তলাটি শহরের বড় কোনো অ্যাপার্টমেন্টের চেয়েও অনেক বড়।

হারমনি অব দ্য সিস যেহেতু একটি ভ্রমণ জাহাজ সেহেতু এখানে ছুটি কাটাতে আসা যাত্রীদের আনন্দযাপনে যেনো এতটুকু অসুবিধ‍া না হয়

https://youtu.be/IcMu242Hs9Q

ad

পাঠকের মতামত