‘অনুমতি ছাড়া পদ্মাবতী দেখালে পুড়িয়ে দেওয়া হবে প্রেক্ষাগৃহ’
ঘটা করে ছবির তিন মুখ্য চরিত্রের পরিচয় করানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়েই মুক্তি পেয়েছে ট্রেলার। এরপরও হুমকির হাত থেকে রেহাই নেই পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালীর ‘পদ্মাবতী’র। নেপথ্যে ভারতের এক রাজপুত সংগঠন। এবার জয় রাজপুতানা সংঘের পক্ষ থেকে দেওয়া হল হুঁশিয়ারি। জানানো হল, অনুমতি ছাড়া রাজস্থানে ‘পদ্মাবতী’ মুক্তি পেলেই পুড়িয়ে দেওয়া হবে প্রেক্ষাগৃহ।
রাজপুত ইতিহাস নিয়ে ছবি করতে গিয়ে প্রথম থেকেই প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে সঞ্জয়কে। মরু শহরে কর্ণি সেনার তাণ্ডবে শুটিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। পরে প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল।
বলা হয়েছিল, ইতিহাসকে কোনওভাবে ছবিতে বিকৃত করা হয়নি। আলাউদ্দিন খিলজি ও রানি পদ্মাবতীর মধ্যে কোনও প্রেমের সম্পর্কও দেখানোর চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু, তাতে যে চিড়ে ভেজেনি, ‘পদ্মাবতী’ দীপিকার প্রথম লুক প্রকাশ্যে আসার পরই বোঝা যায়। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দীপিকার পোস্টার পোড়ানো হয়।
এবার প্রেক্ষাগৃহ পোড়ানোরই হুমকি দিল দেশটির জয় রাজপুতানা সংঘ। সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ভাওয়ার সিং রেটা জানিয়েছেন, প্রায় আড়াই লক্ষ সদস্য রয়েছেন তাদের সংগঠনে। রাজ্যের প্রত্যেকটি প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে পোস্টার।
তাতে বলা হয়েছে, আগে সংগঠনের প্রতিনিধিদের ছবিটি দেখানো হবে। তারা যদি মনে করেন ছবিতে রানি পদ্মাবতীর মহিমা ক্ষুন্ন করা হয়নি, তবেই দীপিকা-শহিদ-রণবীরের ছবি সাধারণ দর্শকদের দেখানোর অনুমতি দেবেন। অনুমতি ছাড়া রাজস্থানের কোনও প্রেক্ষাগৃহে এ ছবি চললে তা পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পোস্টার মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটেও পাঠানো হয়েছে বলে জানান।
ভারতের সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে জয় রাজপুতানা সংঘের পক্ষ থেকে। কিছুদিন আগেই স্মৃতি আশ্বাস দিয়েছিলেন, নির্বিঘ্নেই মুক্তি পাবে ‘পদ্মাবতী’। তার এই আশ্বাসের তীব্র বিরোধিতা করেন রেটা। সংঘের প্রত্যেক সদস্যের তির-ধনুক থেকে একে ৪৭ চালানোর দক্ষতা রয়েছে বলেও হুমকি দেন তিনি।