শ্রেণীকক্ষে এবার মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ
বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় মোবাইল ফোন বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধের পর এবার শ্রেনীকক্ষেও তা নিষিদ্ধ করা হলো। এখন থেকে শ্রেণীকক্ষে কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষক মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। গত ১২ই অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান সাক্ষরিত এক অফিস আদেশ এরই মধ্যে সকল জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পৌছানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়,‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করছেন বা শ্রেনীকক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। এতে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান ও পাঠগ্রহণ ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা শ্রেণীর কার্যক্রমে মনোযোগী হতে পারছে না। এটা অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত। এমতাস্থায়, শ্রেণীকক্ষে কার্যকরী পাঠদান কার্যক্রম শিক্ষার্থী বান্ধব ও গতিশীল করার লক্ষ্যে শ্রেণী কক্ষে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি চাইল্ড পার্লামেন্টের অধিবেশনে শিশুরা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে জানান, কিছু শিক্ষক ক্লাসরুমে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এতে ক্লাসের মুল্যবান সময় পার হয়ে যায়। তাদের পাঠ গ্রহণে বিঘœ ঘটে। অপরদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মšúণালয় সংত্রুান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও গত ১৩ই জুন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েল কাছে একই সুপারিশ করেছিল। ওই সুপারিশে মোবাইল ফোন সঙ্গে করে শিক্ষকরা যাতে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ না করেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে ওই কমিটি। কমিটি মনে করে, পাঠদানের সময় মোবাইল ফোন বেজে ওঠলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগে বিঘœ ঘটে।
তাই সহকারী শিক্ষকদের মোবাইল ফোন শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা রাখার পরামর্শও দেয় কমিটি। কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মšúণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সামশুল হক চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম বাবু, মো. আবুল কালাম, আলী আজম এবং বেগম উম্মে রাজিয়া কাজল ওই সভায় অংশ নেন। মাউশির এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীর মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েরই পাঠদান ও পাঠগ্রহণের জন্য এ নির্দেশটি যথাযথ হয়েছে। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে এ নির্দেশ সুচারুরুপে কার্যকর করবেন বলে জানান।