মাত্র ৩ টাকায় ডিম, সময় ৩ ঘণ্টা
আগে বলা হত ‘প্রতিদিন একটি করে পেঁপে খান, বাড়ির বাইরে ডাক্তার তাড়ান’। ডিম নিয়ে গবেষণার ফলে এখন বলা হচ্ছে ‘প্রতিদিন ‘তিনটি করে ডিম খান, বাড়ির বাইরে ডাক্তার তাড়ান।’ ডিমের পুষ্টিগুণ বিবেচনা করে এবার ঢাকায় সর্বসাধারণের ডিম কেনার মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
এই মেলায় ১২ টাকায় এক হালি ডিম কিনতে পারবেন রাজধানীবাসী। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়বে মাত্র ৩ টাকা। তবে সময় মাত্র ৩ ঘণ্টা। একজন ক্রেতা ৯০টির বেশি ডিম কিনতে পারবেন না। এ সুযোগ মিলবে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবসে। এদিন শুধু ডিম নয়, ডিম দিয়ে নানা স্বাদের খাবারও কেনা যাবে।
রাজধানীর ফার্মগেটে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেলায় এ দামে ডিম কিনতে পারবেন যে কেউ। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতর যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
মেলায় এ দামে বিক্রির জন্য ৫০ হাজার ডিম মজুদ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের মিডিয়া প্রধান সাজ্জাদ হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১টা- এই ৩ ঘণ্টা মেলা চলবে। মেলা উপলক্ষে ৫০ হাজার ডিম মজুদ রাখা হয়েছে। এ আয়োজনে প্রথমবারের মতো টেস্ট কেস হিসেবে ডিম বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিক্রি ভালো হলে ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, মেলায় বড় বড় পোল্ট্রি ফার্ম, ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ডিম দিয়ে নানা ধরনের খাবার প্রস্তুতকারক কোম্পানি অংশ নেবে। এছাড়া ইদানীং অর্গানিক ডিম উৎপাদনের প্রবণতা বেড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানও মেলায় অংশ নেবে।
বাণিজ্যিকভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন কোয়েল পাখি ও হাঁসের উৎপাদন হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানও মেলায় অংশ নিয়ে বাজারদরের চেয়ে অর্ধেক দামে ডিম বিক্রি করবে। দেশের খাবার উপযোগী যেসব ডিম উৎপাদন হয়, তার সবই মেলায় পাওয়া যাবে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর হরেক রকমের ডিম নিয়ে একটি বিশেষ প্রদর্শনীরও আয়োজন আছে।
বাজারদরের চেয়ে কম দামে ডিম বিক্রি প্রসঙ্গে অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, পোল্ট্রি ফার্মগুলো পাইকারিভাবে সাড়ে ৩ থেকে ৪ টাকায় প্রতি পিস ডিম বিক্রি করে। খুচরা বাজারে সেগুলো ৮ টাকায় বিক্রি হয়। এখানে তারা কোম্পানির দামে ডিম বিক্রি করবেন। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ক্রেতাদের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি হবে। এছাড়া ডিম দিয়ে নানা স্বাদের খাবার তৈরি করে বিক্রিও করা হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিম কীভাবে উৎপাদন হয়, সেগুলোও আগত দর্শকদের দেখানো হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানায়, ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য। ডিমের উপকারিতা তুলে ধরতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী একাধিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এগুলোতে ডিমের গুণাগুণ, ডিম উৎপাদনের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হবে।
১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও একযোগে দিবসটি পালন করবে। বাংলাদেশে শুধু ঢাকায় নয়, দেশব্যাপী দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে র্যালি, সভা-সেমিনার এবং জেলা পর্যায়েও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের (আইইসি) উদ্যোগে ১৯৯৬ সাল থেকে ডিম দিবস পালিত হয়ে আসছে।
সূত্র: জাগো নিউজ