প্রেমিকের কথা মতো স্বামীকে তালাক দিছি,দুইবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েও ওষুধ খেয়ে গর্ভপাত ঘটিয়েছি
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের বিরাট গ্রামের মান্নান মলিকের ছেলে মিঠুর সঙ্গে তার ৪ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এক সন্তানের জননী লাকি বেগমের।একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। মিঠু তাকে বিয়ের আশ্বাস দিলে গত ১০ জুলাই স্বামী খলিল শিকদারকে তালাক দেন লাকি।
দুইবার অন্তঃসত্ত্বা হলেও মিঠু জোর করে বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত ঘটান। কিন্তু সম্প্রতি বিয়ের কথা বললে মিঠু কৌশলে এড়িয়ে যান। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেন লাকি বেগম (৩৭)।
বুধবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা জানান লাকি বেগম। তিনি বলেন, প্রেমিকের কথা মতো স্বামীর ঘর ছেড়েছি। এখন আমি কোথায় যাব। প্রেমিক বিয়ে করছে না এদিকে স্বামীর কাছে যাওয়ার পথও বন্ধ। এই অবস্থায় আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ নেই আমার। বিয়ে না করা পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে কোনোভাবেই বাড়ি ফিরে যাব না।
এদিকে, মিঠু মল্লিকের (২৮) এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমিক মিঠুর পরিবার ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেলেও ওই বাড়িতে অনশনরত প্রেমিকাকে দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৫ বছর আগে বাকেরগঞ্জের দুধলমৌ গ্রামের ছোবাহান শিকদারের ছেলের সঙ্গে একই উপজেলার ভরপাশা গ্রামের আবুল শিকদারের মেয়ে রাহিমা খাতুন লাকির বিয়ে হয়।
বিয়ের ৩ বছর পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মের কিছুদিন পর খলিল শিকদার সৌদিআরব গেলে লাকির সঙ্গে মিঠুর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
দীর্ঘ ৪ বছর ধরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে লাকির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন মিঠু। স্থানীয় ইউপি সদস্য আ. রারেক মাস্টার বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।