তর্কে জড়ালে মারধর করার অধিকার আছে স্বামীর, বলছেন স্ত্রীরা !
স্ত্রী’র গায়ে হাত তোলার অধিকার আছে স্বামীর৷ বলছেন খোদ স্ত্রীরাই৷ বিশ্বাস করা কঠিন হলেও, এই তথ্যই দিচ্ছে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভের সমীক্ষা৷ সমীক্ষা বলছে ভারতের কর্মরতা ৫৬ শতাংশ মহিলা বলছেন স্ত্রী যদি স্বামীর সঙ্গে তর্ক করে, তবে স্বামীর অধিকার আছে স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার৷
এরকমই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে পরিসংখ্যানে৷ দেখা গেছে, বিহারের ৩৭ শতাংশ মহিলা বিশ্বাস করেন, স্ত্রীর তর্ক করার কোনও অধিকার নেই৷ যদি কোনও স্ত্রী, তাঁর স্বামীর মুখে মুখে তর্ক করে, তবে সেই স্ত্রীর মারধর খাওয়াই উচিত৷
সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ৪৫হাজার ৮১২ জনের ওপরে৷ এদের মধ্যে ৪১শতাংশ মনে করছেন শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে বাড়ির বউ যদি মানিয়ে নিতে না পারে, যদি ঠিকভাবে সম্মান জানাতে না পারে, তবে সেই বউকে মারধর করার অধিকার থাকে স্বামীর৷ মজাদার ব্যাপার হল, লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগে মহিলাদের সমানাধিকার নিয়ে যে লড়াই জারি গোটা বিশ্বে, তার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হল স্বামীর গায়ে হাত তোলার প্রবণতা৷ মার্চ থেকে আগষ্টের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়৷মুম্বই-এর একটি বেসরকারি সংস্থা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের হয়ে এই সমীক্ষা চালায়৷
স্ত্রীকে মারধর করার পিছনে স্বামীর সপক্ষে বেশ কিছু যুক্তি দেখিয়েছেন মহিলারা নিজেরাই৷ এর মধ্যে রয়েছে সংসার না সামলানো, সন্তানদের দেখভাল না করা, ঠিকমতো খাবার না তৈরি করা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করা৷ সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও তথ্য৷ বিহারের মহিলারা বলছেন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে স্বামীর মতকেই প্রাধান্য দিতে হয়৷
তবে এই মানসিকতার শিকার মূলত গ্রামের মহিলারা৷ শহর ও শহরাঞ্চলের মহিলারা অবশ্য গায়ে হাত তোলার নীতিতে বিশ্বাসী নন৷